চিনিকে ‘না’ বলার উপায়
চিনির তৈরি বিভিন্ন লোভনীয় খাবার। ফাইল ছবি
মিষ্টি, সন্দেশ, ক্ষির,পায়েস, জিলেপি, আইসক্রিমের মতো মিষ্টি খাবার কে না পছন্দ করেন। নিষেধ বা শরীরের জন্য ক্ষতিকর জেনেও মাঝেমধ্যেই এসব চিনিযুক্ত খাদ্য বা পণ্য খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। কেউ কেউ নিষেধ ভুলে খেয়েও নেন। আর শারীরিক সমস্য হলে আফসোস করতে থাকেন। চিনিযুক্ত এসব খাবার থেকে বিরত থাকার উপায় নিশ্চয়ই আছে। চিনিকে না বলতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শগুলো আসুন জেনে নেই -
প্রথম বিষয় হল, তরল মিষ্টি এড়াতে হবে। চিনিযুক্ত কোমল পানীয়র দিকে নজর দিন। যেমন- সোডা, এনার্জি ড্রিংকস এবং কৃত্রিম ফলের রস। মিষ্টি তরল পানীয় গ্রহণ করা অভ্যাস সহজেই গড়ে যায়। ফলে চিনি গ্রহণের পরিমাণও বাড়ে।
চিনি এড়াতে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। চিনি গ্রহণের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। আর সেটা গ্রহণ করাও সহজ। আর সহজ জিনিসের প্রতি আগ্রহও বেশি জন্মায়। তাই আত্মনিয়ন্ত্রণ জরুরি। এই ক্ষেত্রে ধ্যান কৌশল কার্যকর হতে পারে। মনে মনে সবসময় বলতে হবে ‘চিনি খাবন না, মিষ্টি খাব না’।
গবেষণায় দেখা গেছে আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য এই ধরনের বাক্য সারাক্ষণ আওড়ালে বা শুনলে মনের ভেতর থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
কর্মক্ষেত্রে লোভ সামলানো
যেখানে কাজ করতে যাওয়া হয় সেখানে মিষ্টি ধরনের খাবার ও পানীয় গ্রহণ করার লোভ সামলাতে হবে। কর্মক্ষেত্রের আশাপাশে বহু রেস্তোরাঁ থাকে। দুপুরে খাবার সেসব জায়গায় খেতে গিয়ে সহজেই মিষ্টি-ধরনের খাবার এড়ানো যায়।
ঘরে চিনি ও মিষ্টি খাবার রাখা বন্ধ করতে হবে।
চিনি দেওয়া মিষ্টি জুস, পানীয় ও মিষ্টি খাবার ফ্রিজে রাখা বন্ধ করুন। গবেষণায় দেখা গেছে একক চেষ্টার চাইতে দলগত চেষ্টায় মিষ্টি গ্রহণের পরিমাণ কমানো সহজ হয়। তাই পারিবারিকভাবে সবাই মিলে মিষ্টি খাওয়া কমালে, চিনি গ্রহণ কমবে।
জাঙ্কফুড ও কোমল পানীয় গ্রহণের ভাবনা ভাবাও বন্ধ করতে হবে। মিষ্টি খাবার রাখুন ডেজার্ট হিসেবে, সবসময় খাওয়ার জন্য নয়।
প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর দৈনিক ৬ চা-চামচের নিচে চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ সীমাবন্ধ রাখতে হবে। আর ৯ চামচের মধ্যে রাখতে হবে পুরুষের। আর দুই বছরের নিচে শিশুদের চিনিযুক্ত কোনো খাবার দেওয়া উচিত হবে না।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি