তুর্কমেনিস্তানের জ্বলন্ত ‘নরকের দরজা’
জ্বলন্ত অগ্নিগিরি সাদৃশ্য এই অগ্নিকুন্ডকে অনেকেই বলেন ‘নরকের দরজা’। তবে কীভাবে এই অগ্নিগর্ভ তৈরি হলো তা নিয়ে বিশ্লেষকদের ধারণা, মিথেন-জ্বালানিযুক্ত অগ্নিকুণ্ডের মেঝে এবং রিমের দেয়ালের ধারে বেশ কয়েকটি ভেন্ট থেকে বেরিয়ে আসার কারণে তৈরি হয় এই অগ্নিগর্ভ।
রিমের চারপাশে দাঁড়িয়ে, যে কেউ গর্ত থেকে নির্গত তীব্র তাপ অনুভব করতে পারবেন। তবে, পুরো অগ্নিগর্ভটি রাতে বেশ আকর্ষণীয়। মনে হবে, কোটি তারার নীচে জ্বলন্ত জিহ্বা, জ্বলছে!
তবে, এই অগ্নিগর্ভটির আরেকটি নাম ‘ কারাকুম মরুভূমির চমক’। যখন ভ্রমণকারীরা প্রথম ‘দরভাজায়’ কিংবা ‘নরকের দরজা’ দেখতে আসতে শুরু করে, তখন সেখানে কোন দর্শনার্থী পরিষেবা বা সুযোগ-সুবিধা ছিল না।
একটি দুর্ঘটনা থেকে প্রধান পর্যটক আকর্ষণে পরিণত হয়েছে মধ্য এশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র ‘তুর্কমেনিস্তান’।
নরকের দরজা’ খ্যাত অগ্নিগর্ভটি প্রায় ২৩০ ফুট (৭০ মিটার) চওড়া এবং ১০০ ফুট (৩০ মিটার) গভীর। ২০১৮ সালে নিরাপত্তার স্বার্থে, দর্শনার্থীদের জ্বলন্ত সিঙ্ক-হোলের খুব কাছে যেতে না দেয়ার জন্য একটি সুরক্ষা বেষ্টনী যুক্ত করা হয়।
৫০ বছর আগে, একটি সোভিয়েত অনুসন্ধানকারী দল যখন তুর্কমেনিস্তানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধানে ড্রিল করেছিলো, ঠিক তখন-ই অনেকটা দুর্ঘটনার মতন একটি রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। যার ফলে তৈরি হয় ‘দারভাজা গ্যাস ক্রেটার’। একটি বিশাল ‘অগ্নিগর্ভ’, যা শেষ পর্যন্ত দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
ভ্রমণকারীদের রাতে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু নিজের দায়িত্বে আনতে হয়েছিলো। তবে, যারা হাঁটতে চান না, তাদের জন্য বর্তমানে তিনটি স্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। যেখানে রাতের বেলা থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সাথে খাবার এবং মোটর চালিত পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি