পুলিশ বাঁচালো ক্রেন চালকের জীবন
ঢাকা: দুঃখজনক দৃশ্যটির অবতারনা হয়েছে দুবাইয়ের শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ সড়কে।
তিন লেনের এই ব্যস্ত রাস্তাটি আড়াআড়ি করে একটি ক্রেন দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আর ক্রেনটির সাথে রশি বেঁধে নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়েছেন একটি লোক। তার চারপাশ ঘিরে বিস্ময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন শ খানেক চালক।
এমন দৃশ্য চোখে পড়ে ২৩ বছর বয়েসি কর্পোরাল ই্উয়ারাব খালিদের। পেশায় পুলিশ কর্পোরাল খালিদ, আল বারশা পুলিশ স্টেশনে কাজ শেষে গাড়ি নিয়ে ফুজারিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন সেই পথেই। হঠাৎ শারজা’র রাস্তায় ট্রিাফিক জ্যাম আর অনেক লোকের ভিড় দেখে গাড়ি থেকে নেমে আসেন তিনি।
শেষমেশ টানা আড়াই ঘণ্টা বুঝিয়ে আত্নহত্যাচেষ্টায়রত এশিয়ান ক্রেন ড্রাইভারকে বিরত করতে সক্ষম হন পুলিশ খালিদ।
আমিরাতের সংবাদমাধ্যম জানায়, এশিয়ান ওই ক্রেন ডাইভরের মা গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু নিয়মিত বেতন না পাওয়ায় তার চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তিনি যে কোম্পানিতে কাজ করেন তারা অনেকদিন ধরেই তাকে পুরো মাসের বেতন দিচ্চে না। এমনকি অনিয়মিতভাবে মাসে যা দেয় তাও খুব সামান্য। এভাবে তিনি আর জীবন চালাতে পারছেন না।
আর তাই বাধ্য হয়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। খালিদ বলেন, “সব শেষে আমি তাকে আস্বস্ত করেছি যে, দুবাই পুলিশ তাকে তার প্রাপ্য বেতন পেতে ওই প্রতিষ্ঠানটিকে বাধ্য করবে এবং তার অধিকার আদায়ে দেশের প্রচলিত আইনও তাকে সহায়তা করবে।”
কিন্তু একই সাথে দুবাই পুলিশ তাকে আত্মহত্যার চেস্টার কারণ জিজ্ঞাসা করবে। ঘটনা সম্পর্কে দুবাহ পুলিশ প্রধান জেনারেল খামিছ আল মুজাইনা জানান, “বয়েসে তরুণ খালিদ মাত্র কিছুদিন আগে পুলিশে যোগ দিয়েছেন। তিনি ওই ক্রেন চালকের জীবন বাঁচিয়ে বীরোচিত কাজ করেছে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে/একে
নিউজবাংলাদেশ.কম