নাটেশ্বরে হাজার বছরের প্রাচীন হারানো শহর আবিষ্কার
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নাটেশ্বরে প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধনসভ্যতার এক হারানো নগর আবিষ্কৃত হয়েছে।
প্রায় দুই মাস খনন অভিযান শেষে গত সোমবার দুপুরে খননস্থলে সংবাদ সম্মেলন করে এ আবিষ্কারের কথা জানান বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্মতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক নূহ-উল-আলম লেনিন।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে প্রাচীন এ বৌদ্ধ নগরী উদ্ধার কাজ চলে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এই খনন অভিযানে ‘অষ্টকোণাকৃতি স্তূপবিশিষ্ট বাহু’, ‘কোণ’, ‘অভ্যন্তরীণ অষ্টকোণাকৃতি স্তূপ’, ‘চেম্বার’ ও ‘মণ্ডপ’সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নসামগ্রী পাওয়া গেছে বলে জানান প্রকল্পের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক শাহ সুফি মুস্তাফিজুর রহমান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এই শিক্ষক বলেন, ‘খননের মাধ্যমে আকর্ষণীয় নির্মাণ শৈলীর প্রাচীন ইট নির্মিত দুটি পাকা রাস্তা, দুই দশমিক ৭৫ মিটার প্রশস্ত আঁকাবাঁকা একটি বিশেষ দেয়াল পাওয়া গেছে।’
সাত মিটার গভীরতায় এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অতীতে বিক্রমপুরের দীর্ঘ সময়ের এক সমৃদ্ধ সভ্যতার সাক্ষ্য বহন করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে অতিথি ও গবেষকরা খনন এলাকা ঘুরে দেখেন।
প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শনের এই যৌথ খনন কাজে চীনের চার জন এবং বাংলাদেশের ২০ জন গবেষক অংশ নেন।
চলতি মাস পর্যন্ত খনন কাজ শেষে জায়গাটি ঢেকে রাখা হবে। আগামী নভেম্বর থেকে পুনরায় খনন শুরু হবে বলে সম্মেলন থেকে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিং, চীনের হুনান প্রভিন্সিয়াল ইনস্টিটিউট অব কালচারাল রেলিকস অ্যান্ড আর্কিওলজির অধ্যাপক চাই হুয়াংবো ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল ও পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
পিপি/
নিউজবাংলাদেশ.কম