News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ৪ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৬:৪৯, ১৫ জুন ২০২০

পাগলের কাণ্ড!

কবুতর বাঁচাতে এত বড় ঝুঁকি

কবুতর বাঁচাতে এত বড় ঝুঁকি

ঘুড়ির সুতোয় ফেঁসে গিয়েছিল উড়ন্ত এক কবুতর। সেই সুতো আবার আটকে ছিল বৈদ্যুতিক খাম্বায়। ছাড়া পাওয়ার জন্য কবুতর যতই ছটফট করছিল ততই আটকে যাওয়া ডানাটি ফেঁসে যাচ্ছিল আরও। লোকজন নিচে জড়ো হয়ে আফসোস করছিলেন। কিন্তু ৩০ ফিট উঁচুতে ঝুলতে থাকা পাখিটির জন্য ওই আফসোস ছাড়া করার আর কিছু ছিলও না কারও। সবাই মনে করছিলেন, এভাবে আটকে থেকেই কবুতরটির ভবলীলা সাঙ্গ হবে। কারণ, স্টিলের তৈরি মসৃণ ওই বৈদ্যুতিক খুঁটি বেয়ে কে উঠতে যাবে তুচ্ছ ওই প্রাণীটিকে বাঁচাতে?

এ ঘটনা ভারতের আহমেদাবাদের হোমিংটন জেমস এলাকার। এসময়ে কেউ কেউ ভাবছিলেন বার্ড রেসকিউ গ্রুপের হেল্পলাইনে ফোন করার কথা। তবে এসব ভাবাভাবির ধারকাছ দিয়েও ভাবছিলেন না আহমেদাবাদের ট্রাফিক রোড ব্রিগেডের কর্মী ভারত। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সবাই দেখলো হঠাৎ ত্বড়িৎ গতিতে তারখাম্বা বেয়ে উঠে যাচ্ছেন ২২ বছর বয়সী ভারত। বিপজ্জ্নক ওই খাম্বা বেয়ে তিনি ২৫ সেকেন্ডের মধ্যে প্রায় ৩০ ফিট ওপরে ঝুলতে থাকা ফাখিটিকে মুক্ত করেন। ছাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাখিটি ডানা ঝাপটে উড়ে যায়।

একটা কবুতরের জন্য একজন সাধারণ ট্রাফিক কর্মীর এই অসাধারণ ‘কমান্ডো’ অভিযানে সবাই মুগ্ধ। তার নিজের ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র-জুনিয়ররা প্রশংসায় পঞ্চমুখ। প্রশংসার ফুলঝুরি ছুটছে সাধারণ মানুষের মুখেও।

তবে ভারত বিষয়টি নিয়ে প্রায় নির্বিকার। বিনম্র ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেখলাম ফেঁসে যাওয়া কবুতরটা ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাখাটি ছিড়ে যেতে পারে আর কবুতরটি অত উপর থেকে পড়ে মারা যেতে পারে। হেল্প লাইনে ফোন করলে সাহায্য আসতে বআসতে দেরি হয়ে যেতে পারে। তাই আমি নিজেই খুঁটি বেয়ে উঠে গেলাম।
এই বিপজ্জনক কাজে ভয় লাগেনি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই গাছে চড়ায় পটু। ওই সময়ে আমার চিন্তা ছিল পাখিটিকে বাঁচানোর দিকে। যখন আমি পাখিটিতে মুক্ত করি, অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল বেচারা উড়তে পারবে না। কিন্তু দেখলাম সহজেই সে উড়াল দিল মুক্ত আকাশে।

ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা এমএম পারমার বলেন, আমরা ভরতকে খোম্বার ওপর দেখে চমকে যাই। তবে খুশী হই এটা দেখে যে সে পাখিটিকে বাঁচাতে পেরেছে। সাহসী আর নিঃস্বার্থ হওয়া দুটি খুবই বড় গুণ। পুলিশ সাবইন্সপ্কেটর ইনচার্জ বিপি ভানভি বলেন, সে যে করেছে তা মানবিকতার ওপর আরও একবার বিশ্বাস জাগিয়েছে আমাদের। সে এমন এক দৃষ্টান্ত উস্থাপন করেছে যা আমাদের অনুসরণ করা উচিৎ।

জানা গেছে, খুব বেশিদিন হয়নি ট্রাফিক বিভাগে যোগ দিয়েছেন ভারত। সূত্র: নবভারত টাইমস

নিউজবাংলাদেশ.কম/একে

 

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়