News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ৪ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ২০:৫০, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

স্থানীয় উদ্যোগে পালিত হচ্ছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের একশ বছর

স্থানীয় উদ্যোগে পালিত হচ্ছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের একশ বছর

ঈশ্বরদীর পাকশীতে পদ্মা নদীর উপর ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজের শতবর্ষ পালিত হচ্ছে আজ। এ উপলক্ষে রেল বিভাগের কোন আয়োজন না থাকলেও স্থানীয়রাই পালন করছেন – হার্ডিঞ্জ ব্রিজের একশ বছর।

রেলওয়ে ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়,  ১৮৮৯ সালে তৎকালীন অবিভক্ত ভারত সরকার আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও উত্তরবঙ্গের সাথে কলকাতার যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

দীর্ঘ ৫ বছর প্রায় ২৪ হাজার শ্রমিক অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৯১৫ সালে ১৭৯৮ মিটার বা ৫৮০০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। সেতুটির নির্মাণে তখন ব্যয় হয়েছিলো প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। ব্রিজটিতে ১৫টি স্প্যান আছে। সেতুটি উদ্বোধন করা হয় ১৯১৫ সালের ৪ মার্চ। তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের নামানুসারে ব্রিজটির নামকরণ করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।

সেতুটির বয়স একশ বছর হওয়ার পরও এটিই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।

`হার্ডিঞ্জ ব্রিজের একশ বছর` উদযাপন পরিষদের আহবায়ক পাকশী রেলওয়ে কলেজের সাবেক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন উদীচী, খেলাঘর ও স্পন্দন যৌথভাবে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ব্রিজের শতবর্ষ স্মরণীয় করে রাখতে। এসব আয়োজনে থাকছে কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।

তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক এ রেল সেতুটির সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে এ সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। পরে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তায় সংস্কার করা হয়।”

পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন বলেন, “এ সেতুটিই বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর একটি। মৈত্রী ট্রেন ভারতে যায় এ সেতুর উপর দিয়ে। আবার ভারত থেকে দর্শনা হয়ে মালবাহী ট্রেনকেও এ সেতু ব্যবহার করতে হয়”।

নিউজবাংলাদেশ.কম/ এসজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়