রাতেও সূর্য আলো দেয় বগুড়ার নন্দীগ্রামে!
বগুড়া: রাতেও সূর্য আলো দেয় বগুড়ার নন্দীগ্রামে। শুধু এ গ্রামই নয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তির মাধ্যমে জেলার কয়েক হাজার পরিবারের আঁধার ঘরে এখন আলো জ্বলছে। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের মাঝে আলোর ঝলকানি এনে দিয়েছে সরকারের গ্রামীণ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প।
গ্রামবাসীকে এ সুযোগ দেয়া হচ্ছে বিনে পয়সায়। এ উপজেলা শস্য উদ্বৃত্ত হলেও একসময় এখানকার ধানচাষিরা ছিল অসহায়। উপজেলার বান্দিপুকুর ও ধুন্দাইলসহ বেশক’টি গ্রামের চাষিদের ঘরে উঠত অর্ধেক ফসল। কেননা ক্ষেতে পানি দেয়া বাবদ ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের মালিককে অর্ধেক ফসল দিতে হতো।
এরই পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের সাফ জবাব ছিল, প্রত্যন্ত এ এলাকায় বিদ্যুতের অবকাঠামো গড়ে তোলা একেবারেই সম্ভব নয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
কিন্তু এখন সরকারি উদ্যোগে সৌরবিদ্যুতের কল্যাণে চাষিদের ঘরে ঘরে আলো ঝলমল করছে। শুধু তাই নয়, ফসলের ক্ষেতেও তারা সহজেই পানি সেচ দিতে পারছে। তাদের জীবনে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা।
বগুড়া জেলা প্রশাসক শফিকুর রেজা বিশ্বাস নিউজবাংলাদেশকে জানান, জেলার ১২টি উপজেলার সব উপজেলাতেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সৌর বিদ্যুতায়ন করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এসব গ্রামে সরকারি অর্থায়নে সৌরবিদ্যুৎ প্রতিস্থাপন করায় এর সুফল পাবে তৃণমূল চাষিরা।
জানা গেছে, এর আগে এসব গ্রামে প্রাতিষ্ঠানিক আর পারিবারিক শিক্ষাসহ সব ধরনের গেরস্থালি কর্মকান্ড ছিল দিনের আলো নির্ভর। বিদ্যুৎ ছিল সেসময় এখানকার মানুষের স্বপ্ন। তাদের স্বপ্ন এবার পূরণ হয়েছে।
বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন নিউজবাংলাদেশকে জানান, ২০২১ সালের ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ানের অন্যতম লক্ষ্য হলো দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করা। সরকার সে লক্ষ্যে কাজও করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এ লক্ষ্য পূরণের জন্য সরকারের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও। বর্তমান সরকারের গ্রামীণ জনগোষ্ঠির আর্থসামাজিক উন্নয়ন সুদূর প্রসারী ভূমিকা রাখবে সরকারের এ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম