News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:৩৭, ১৫ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ২২:৪৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

অদম্য নারী

নিহত মেজরের স্ত্রী এখন আর্মির লেফটেন্যান্ট

নিহত মেজরের স্ত্রী এখন আর্মির লেফটেন্যান্ট

একজন সেনাকর্মকর্তার স্ত্রী হিসেবে রুচি ভার্মার জীবন সুখ-শান্তিতে ভরপুর ছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে যেন মাথার ওপর আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।

আসামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে স্বামী মেজর বিনীত ভার্মা মারা যান। ভারত সরকার তাকে শহীদের মর্যাদা দেয়। আর ‘শহীদ’ সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী হিসেবে রুচিকে ‘বীর নারী’ খেতাব দেয়া হয়।

কিন্তু ওই খেতাব নিয়েই তিনি সন্তুষ্ট থাকতে চাননি। তিনি যা করলেন তা তার দেশ ছাড়িয়ে দুনিয়ার অন্যান্য দেশের নারীদের জন্যও অনুকরণীয় উদাহরণ এখন। সীমার বাঁধন কেটে তিনি চাইলেন চার দেয়ালের বাইরের দুনিয়াটা দেখতে। তারই সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হল গত শনিবার। সেদিন ২৪ বছর বয়সী রুচি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেন।

রুচি জানান, মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়ার পর তার জীবন এক নয়া মোড় নেয়। তিনি বলেন, “যখন মেজর বিনীত বেঁচে ছিলেন তখন আমার জীবন আনন্দে ভরপুর ছিল। আমার ব্যাগ বহন করতো ভৃত্য; ১০০ মিটার পথ যেতেও গাড়ি ছিল সঙ্গী। কিন্তু যখন ট্রেনিংয়ে যোগ দিলাম তখন আমাকে দৌড় দেওয়া, ভারী অস্ত্র বহন করা-- এসব শুরু করতে হলো।”

প্রশিক্ষণের কারণে তাকে তার সাধের লম্বা চুলও কেটে ফেলতে হয়।

যুদ্ধক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেখানে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নাই।

তার স্বামী ২০০৬ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এরপর ৭ বছর দেশসেবার একপর্যায়ে আসামের বলিপাড়ায় এক সংঘর্ষে মারা যান।  
বিনীত-রুচির বিয়েটা ছিল অ্যারেঞ্জড-ম্যারেজ। একথা জানিয়ে রুচি আরও জানান, তার ইচ্ছা ছিল বিবাহিত জীবনে একজন সেনাকর্মকর্তার স্ত্রী হতে। সেটা হয়েছেন এবং এখন স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি নিজেও সেনাকর্মকর্তা। তিনি আশা করছেন তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে অক্ষতও বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। সূত্র: নবভারত টাইমস

নিউজবাংলাদেশ.কম/একে 

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়