News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:২১, ১২ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৪:১৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সিটি নির্বাচন

ইসির সদিচ্ছা আছে, সদিচ্ছা নেই

ইসির সদিচ্ছা আছে, সদিচ্ছা নেই

ঢাকা: ঢাকার দুটি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে আবারও সরব হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন। রোজার আগেই এ তিন সিটিতে নির্বাচন শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তার এমন ঘোষণার পরে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। কেউ বলছেন, ইসির সদিচ্ছা আছে, কেউ আবার উল্টো প্রশ্ন তুলছেন ইসির সদিচ্ছা নিয়ে। তবে নির্বাচন না হলে সমস্যার সমাধান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সবাই।

বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাদেশের পক্ষ থেকে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এমন মন্তব্য করেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নির্বাহী পরিচালক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। এখন যে পরিবেশ চলছে, তাতে প্রার্থীরা নির্বাচন করতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে আশঙ্কা আছে। এমনকি ভোটাররাও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে কি না, বলা যাচ্ছে না। ইসির অতীত রেকর্ড গর্ব করার মতো না। ইসি সদিচ্ছা দেখাতে পারছে না।”

তবে তার এ মতের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ পেয়েছে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর মন্তব্যে। নির্বাচন কমিশনের ‘সদিচ্ছা’ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কমিশনের কোনো সদিচ্ছার অভাব দেখছি না। জাতীয় নির্বাচনেও ইসি তাদের মতো করে প্রস্তুতি নিয়েছিলো। যদিও ইসির সাংবিধানিক দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় নির্বাচন করা। স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা তাদের বাড়তি দায়িত্ব। তবে এ দায়িত্ব পালনে তাদের সদিচ্ছার কোনো অভাব দেখছি না।”

এদিকে নির্বাচন নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেন ড. বদিউল। তিনি বলেন, “আমি সবসময়ই নির্বাচনের পক্ষে। তবে ইসি পক্ষপাতমূলক আচরণ করবে কি না, সেটা কেউ বলতে পারছে না। ঠিকমতো প্রার্থী হতে না পারলে নির্বাচনে কোনো সমাধান আসবে না। জাতীয় নির্বাচন যেমন সমাধান না করে নতুন সমস্য সৃষ্টি করেছে, এটাও তেমনি সমস্যা সৃষ্টি করবে।”

এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশা জানিয়ে ড. কলিমুল্লাহ বলেন, “কোনো নির্বাচন সময়মতো হয়ে যাওয়া ভালো। রাজধানীতে দুটি সিটি করপোরেশন তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসক নিয়োগ করে প্রতিষ্ঠান চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। একদিকে গণতান্ত্রয়ণের কথা বলে অন্যদিকে নির্বাচন ফেলে রাখা ঠিক হবে না। এ নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলেই প্রত্যাশা করছি।”

ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের (ফেমা) সভাপতি মুনিরা খান অবশ্য পুরো দায়ভার ইসির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইসি যদি মনে করেন তাহলে ফেয়ার ইলেকশন করতে পারবে। সেটা তাদের ওপরই ডিপেন্ড করবে। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ইসি চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, না চাইলেও তাদের বিষয়।”

এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন তফসিল ঘোষণার আগে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “তফসিল ঘোষণার পরেই সবকিছু বলা যাবে। এখন কিছু বলা ঠিক হবে না।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়