৭৪১ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত, প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন
দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ৭৪১ জন সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার (২ মে) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা। আর এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন চার জন পুলিশ সদস্য, সুস্থ হয়েছেন ৫৫ জন। এছাড়া কোয়ারেন্টিনে আছেন এক হাজার ২২৫ জন, আইসোলেশনে আছেন ১৭৪ জন পুলিশ সদস্য।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সারা দেশের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ- ডিএমপিতে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। শুক্রবার (১ মে) পর্যন্ত ডিএমপির ৩২৮ জন পুলিশ সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবারই ডিএমপিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে চার জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। সর্বশেষ শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারা যান। এর আগে, এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও দুই পুলিশ কনস্টেবল মৃত্যুবরণ করেন।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ হাসপাতালের আওতায় এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে স্থান না হওয়ায় রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ আরও কয়েকটি জায়গায় রোগীদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসক সংযুক্তির অনুরোধ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে ৩০ জন চিকিৎসক সংযুক্তি করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি ড. হাসান উল হায়দার বলেন, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের বাইরেও আমাদের ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ হাসপাতালের বাইরে যেসব প্রতিষ্ঠানে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাদের কোনও একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করতে পারলে ভালো হতো। করোনার সময় কোনও একটি বেসরকারি হাসপাতাল পুরোটাই পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন কনস্টেবল পর্যায়ের সদস্যরা। এর পরেই রয়েছেন এএসআই ও এসআই পদমর্যাদার সদস্যরা। তারা সরাসরি মাঠে কাজ করেন এবং ব্যারাকে অবস্থান করছেন। এজন্য এদের সবার সুরক্ষাসামগ্রী নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, ডিএমপিতে ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ঢাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও আক্রান্তের হার বেশি। এ কারণে ডিএমপিতে পুলিশের মধ্যেও আক্রান্তের হার বেশি।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক সদস্যকে সুরক্ষাসামগ্রী দিয়েছি। তাদের বসবাসের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের সচেতন করা হচ্ছে। তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।সদস্য করোনা আক্রান্ত
করোনা মহামারিতে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ৬৭৭ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন চার জন পুলিশ সদস্য, সুস্থ হয়েছেন ৫৫ জন। এছাড়া কোয়ারেন্টিনে আছেন এক হাজার ২২৫ জন, আইসোলেশনে আছেন ১৭৪ জন পুলিশ সদস্য। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সারা দেশের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ- ডিএমপিতে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। শুক্রবার (১ মে) পর্যন্ত ডিএমপির ৩২৮ জন পুলিশ সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবারই ডিএমপিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে চার জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। সর্বশেষ শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারা যান। এর আগে, এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও দুই পুলিশ কনস্টেবল মৃত্যুবরণ করেন।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ হাসপাতালের আওতায় এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে স্থান না হওয়ায় রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ আরও কয়েকটি জায়গায় রোগীদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসক সংযুক্তির অনুরোধ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে ৩০ জন চিকিৎসক সংযুক্তি করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি ড. হাসান উল হায়দার বলেন, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের বাইরেও আমাদের ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ হাসপাতালের বাইরে যেসব প্রতিষ্ঠানে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাদের কোনও একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করতে পারলে ভালো হতো। করোনার সময় কোনও একটি বেসরকারি হাসপাতাল পুরোটাই পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন কনস্টেবল পর্যায়ের সদস্যরা। এর পরেই রয়েছেন এএসআই ও এসআই পদমর্যাদার সদস্যরা। তারা সরাসরি মাঠে কাজ করেন এবং ব্যারাকে অবস্থান করছেন। এজন্য এদের সবার সুরক্ষাসামগ্রী নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, ডিএমপিতে ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ঢাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও আক্রান্তের হার বেশি। এ কারণে ডিএমপিতে পুলিশের মধ্যেও আক্রান্তের হার বেশি।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক সদস্যকে সুরক্ষাসামগ্রী দিয়েছি। তাদের বসবাসের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের সচেতন করা হচ্ছে। তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি