‘মিষ্টি উপন্যাসকে মিষ্টি করেই উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি’
ঢাকা : শিলিং পাহাড়ের পথে বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা দুই গাড়ির আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটে। এভাবেই পরিচয় হয় বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় ও লাবণ্যর। নির্জন পাহাড়ের দুর্লভ অবসরে তারা দুজন দুজনকে দেখে। তাদের ভেতর তৈরি হয় ভালোলাগার শিরশির অনুভূতি। আর এভাবেই হয়ে যায় তাদের প্রেম।
এ হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতার গল্প। শনিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্ত হলো প্রাঙ্গণে মোরের উপস্থাপনা শেষের কবিতা। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের উপন্যাস শেষের কবিতার নাট্যরূপ দিয়েছেন অনন্ত হিরা। নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ।
এ নাটকে লাবণ্য চরিত্রে রূপদান করেছেন নূনা আফরোজ, শুভেচ্ছা, ইস্টের সুমী এবং অনন্ত হিরা, রামিজ রাজু। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিতালী, মায়মুন, নূনা আফরোজ, রামিজ রাজুসহ অন্যান্য শিল্পীরা।
উল্লেখ্য, প্রাঙ্গণে মোরের ষষ্ঠ প্রযোজনা এবং চব্বিশতম প্রদর্শনী হলো এ নাটকের মাধ্যমে। নির্দেশক নূনা আফরোজ নিউজবাংলাদেশকে জানান, মিষ্টি একটি উপন্যাসকে মঞ্চে মিষ্টি করেই উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।
তিনি আরো বলেন, কতটুকু মিষ্টি হয়েছে এবং দর্শকদের মনে কতটুকু মিষ্টি কষ্টের অনুভূতি অনুভূত হয়েছে তা দর্শকদের চোখ দেখে বুঝে নেয়ার চেষ্টা করবো।
এর আগে ৬ মার্চ প্রাঙ্গণে মোরের আয়োজনে দুই বাংলার নাটক দিয়ে শুরু হয় নাট্য উৎসব। এ উৎসবের শিরোনাম দেয়া হয়েছে, দুই বাংলার নাট্যমেলা রবীন্দ্রনাট্য ও অন্যান্য। এ নাট্য উৎসব চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত।
নিউজ বাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম