নিয়োগ দুর্নীতি: লাকীসহ শিল্পকলার ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মোহাম্মদ লিয়াকত আলী লাকী। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
তিনি আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটি মামলার সূত্রে এই আবেদন করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে শিল্পকলা একাডেমীর অর্থ আত্মসাৎ এর একটি মামলার তদন্ত চলছে।
জানা গেছে, তারা যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করে বিদেশ যেতে পারেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে এবং ঘটনার ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
অন্য যাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা (কালচারাল অফিসার) আল মামুন, মো. হামিদুর রহমান, বেগম সুদীপ্তা চক্রবর্তী, হাসান মাহমুদ, বেগম বুনা লায়লা মাহমুদ, সহকারী পরিচালক (বাজেট ও প্ল্যানিং) বেগম সামিরা আহমেদ, স্টেজ ম্যানেজার বেগম রহিমা খাতুন, গাইড লেকচারার মো. মাহাবুবুর রহমান, ইন্সট্রাকটর (সংগীত ও যন্ত্র) বেগম মীন আরা পারভীন, ইন্সট্রাকটর (নৃত্য) বেগম প্রিয়াংকা সাহা, যন্ত্রশিল্পী (গ্রেড-৩) নারায়ণ দেব লিটন ও মোহাম্মদ জিয়াউল আবেদীন, নৃত্যশিল্পী (গ্রেড-৩) বেগম লায়লা ইয়াসমিন, বেগম মিফতাহুল বিনতে মাসুক, বেগম আলকা দাশ প্রাপ্তি ও বেগম সুমাইতাহ তাবাসসুম খানম, কণ্ঠশিল্পী বেগম রোকসানা আক্তার রূপসা, আবদুল্লাহেল রাফি তালুকদার, মো. সোহানুর রহমান, বেগম আবিদা রহমান সেতু ও বেগম মোহনা দাস এবং ক্যামেরাম্যান (জনসংযোগ) মো. রুবেল মিয়া।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক সুমিত্রা সেন বাদী হয়ে ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্রে নম্বর বাড়িয়ে অবৈধভাবে ১০টি পদে ২৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া এবং তাদের বেতনভাতা বাবদ সরকারি তহবিল থেকে ৮ কোটি ২৮ লাখ ৪৯৫ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শিল্পকলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক লিয়াকত আলী (লাকী) ও শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো শিল্পকলা একাডেমির নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর পত্রে অসৎ উদ্দেশ্যে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষার নম্বর বৃদ্ধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রাপ্ত লিখিত পরীক্ষায় নম্বরপত্র বাড়িয়ে বিভিন্ন পদে যোগদান করেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি