‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’ইংল্যান্ডের স্কুলে
‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’ গানের একটি স্থিরচিত্র বলিউড সিনেমার আইটেম গানের তালিকায় অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় একটি গান ছিল ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’। কাহিনির প্রয়োজন ছাড়াও একটি গান কীভাবে এতটা জনপ্রিয় হতে পারে আর সিনেমাটি কীভাবে সুপারহিট হতে পারে তা নিয়ে এবার পড়াশুনা করা হবে ইংল্যান্ডের স্কুলে।
ইংল্যান্ডের মিউজিক স্কুলের পাঠ্যক্রমে যুক্ত হয়েছে সালমন খানের সুপারহিট ‘দাবাং’ সিনেমার গানটি। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে।
২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘দাবাং’ সিরিজের প্রথম সিনেমা। ব্যবসাসফল সিনেমাটিতে ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’ গানটি গেয়েছিলেন মমতা শর্মা, ঐশ্বর্য নিগম, মাস্টার সেলিম। আর গানে পারফর্ম করেছিলেন মালাইকা অরোরা। তখন অবশ্য মালাইকা ছিলেন সিনেমাটির অন্যতম প্রযোজক আরবাজ খানের স্ত্রী। বক্স অফিসে যেমন ‘দাবাং’ সুপারহিট হয়েছিল, তেমনই চার্ট বাস্টারে সবচেয়ে উপরে জায়গা করে নিয়েছিল মালাইকার আইটেম গানটি। সেই গান সম্পর্কে এবার পড়াশোনা করবেন ইংল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা।
‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’র পাশাপাশি আরও একাধিক গান ইংল্যান্ডের মিউজিক স্কুলগুলির পাঠ্যক্রমে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কিশোরী অমনকরের ‘সহেলি রে’, অনুষ্কা শংকরের ‘ইন্ডিয়ান সামার’ এবং এ আর রহমানের অস্কারজয়ী গান ‘জয় হো’। কেন এত ভারতীয় গান রাখা হয়েছে সেদেশের স্কুলের পাঠ্যক্রমে? ভারতীয় গানের বৈচিত্র্য বোঝাতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।
পাঠ্যক্রমে ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’ গান সম্পর্কে জানানো হয়েছে, গল্পের প্রয়োজন ছাড়াই আইটেম গানটি বলিউড সিনেমায় ফুটে উঠেছে। কেন্দ্রীয় চরিত্র পুলিশ অফিসার চুলবুল পাণ্ডেকেও (সালমান খান) দেখা গেছে মালাইকা আরোরার সঙ্গে গানে নাচতে। শুধুমাত্র এই গানের দৃশ্যায়নে রয়েছেন মালাইকা। নাচ-গান-রঙিন দৃশ্যে ভরপুর গানটি। গানের মধ্যে ‘টিপিক্যাল বলিউড’-এর বহু বিশেষত্ব ফুটে উঠেছে বলেও জানানো হয়েছে। ব্যাখ্যা যাই হোক। ইংল্যান্ডের স্কুলগুলির পাঠ্যক্রমে গানটি যুক্ত হওয়ায় দারুণ খুশি মালাইকা অরোরা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি