ঋষি আশেপাশে থাকলে এক মুহূর্তও মনমরা লাগত না: হেমা
বলিউডের যে কয়েকটি জুটি ছিল বিরল, তার মধ্যে একটি ঋষি কাপুর ও হেমা মালিনীর। বহু ছবিতেই দুজনে কাজ করেছেন কিন্তু যদি জুটি হিসেবে দেখা যায় তবে ছবির সংখ্যা নিছকই হাতে গোনা। আর সেই কম সংখ্যক ছবির তালিকাতেই রয়েছে আশির দশকের একটি অন্যধারার ছবি। অভিনেতার প্রয়াণে হেমা মালিনী ফিরে গেলেন পুরনো দিনে, জানালেন তার সহ-অভিনেতাকে নিয়ে কিছু অনুভবের কথা।
“ভাবতেই পারি না যে এত প্রাণবন্ত একটা মানুষ আর নেই। ওর সঙ্গে অনেক ছবিই করেছি। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি করে মনে পড়ছে সুখওয়ন্ত ধড্ডার ‘এক চাদর মইলি সি’। ওই ছবিতে ঋষি আমার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছিল। এছাড়া উল্লেখযোগ্য ছবি আরও আছে, যেমন মনমোহন দেশাইয়ের ‘নসিব’ (১৯৮১) অথবা রাজ কানওয়ার-এর ‘সদিয়াঁ’ (২০১০)। আমার পরিচালনায় অভিনয়ও করেছিল ঋষি, ‘টেল মি ও খুদা’ (২০১১) ছবিতে”, বলেন বলিউড কিংবদন্তি।
বয়স অনুপাতে ঋষি কাপুর অনেকটাই ছোট হেমা মালিনীর থেকে। তাই ঠিক নায়ক-নায়িকা হিসেবে দেখা যায়নি তাদের। ‘এক চাদর মইলি সি’-র স্টোরিলাইনটিই ছিল এমন যে সদ্য স্বামী-হারানো রানিকে বিয়ে করতে হয় তার থেকে বয়সে অনেকটা ছোট দেবরকে। রজিন্দর সিং বেদি-র উপন্যাস থেকে নির্মিত এই ছবিটি ঋষি কাপুরের ফিল্মোগ্রাফিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ছবি।
“ঋষির সঙ্গে প্রত্যেকটা কথোপকথন এত প্রাণবন্ত হতো। ও আশেপাশে থাকলে এক মুহূর্তও মনমরা লাগত না। নীতু, রণবীর, ঋদ্ধিমা আর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য আমার সমবেদনা রইল। ঈশ্বর ওঁদের সহায় হোন। প্রথমে ইরফান তার পরে ঋষি, করোনার দিনগুলিতে এই শোকসংবাদগুলি সহ্য করাটা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে”, বলেন হেমা, “ঋষি অসাধারণ অভিনেতা ছিল। ঠিক যখন ভাবছিলাম যে ক্যানসার থেকে সেরে উঠছে, তখনই চলে গেল। ওকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারলাম না, এটা আরও কষ্টকর। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ