News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
আপডেট: ২০:৫০, ২২ জানুয়ারি ২০২০

প্রায় ৩০ লাখ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবন দীর্ঘায়িত হচ্ছে

প্রায় ৩০ লাখ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবন দীর্ঘায়িত হচ্ছে

২০ দলের লাগাতার অবরোধ-হরতালে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম। হাতেগোনা দু-একটি বাদে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা হচ্ছে না। পিছিয়ে যাচ্ছে একের পর এক পরীক্ষা; তৈরি হচ্ছে সেশনজট।

ফলে প্রায় ৩০ লাখ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবন আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে সরকারি ৩৪টি ও বেসরকারি ৭৮টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া হরতাল-অবরোধের কারণে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকে আবাসিক হল ছেড়ে দিয়েছেন।

এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ সমস্যাও সেশনজট আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট সৃষ্টি করছে স্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার বলেন, `জানুয়ারি মাস দেশের প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ভর্তি, ক্লাস, বই বিতরণ ও পরীক্ষার সময়।

বিএনপি জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধের কারণে এর প্রতিটি কার্যক্রম বিঘি্নত হচ্ছে। এ বছর হরতালের মধ্যে আমাদের পাঠ্যবই বিতরণ করতে হয়েছে। বছরের শুরুতেই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস এবং পরীক্ষা হচ্ছে না। এসএসসি পরীক্ষা নিতে দেওয়া হচ্ছে না, যা দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনকে ভয়াবহ সর্বনাশার পথে নিয়ে যাচ্ছে। এই হরতাল-অবরোধ দেশের জন্য একটি মাত্র ফলই বয়ে আনছে, তা হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেওয়া।`

উদ্ভূত পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে গিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, বিএনপি সবসময় দেশ ধ্বংসের রাজনীতি করে। গত ছয় বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেশনজট অনেকাংশেই শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে সরকার।

শিক্ষার্থীরা নিজেদের মূল্যবান শিক্ষাজীবনের কথা চিন্তা করে রাস্তায় নেমে এলে দেশবিরোধী সব অপতৎপরতা বন্ধ হবে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো কোনো অনুষদে আগে থেকেই কিছুটা সেশনজট চলছিল। টানা এক মাসের হরতাল-অবরোধে তা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। ছাত্রছাত্রীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন যথাসময়ে শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়া নিয়ে। অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দু`একটি বিভাগ ছাড়া তেমন সেশনজট নেই। উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়েও কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়