২১ বছরেও এমপিওভুক্ত হননি!
ঢাকা: ১৯৯৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু হয়েছে। দীর্ঘ ২১ বছরেও নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হয়নি। বিনে বেতনে হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষকতা করে আসছেন। কী করে তারা অনার্স-মাস্টার্স পড়াবেন!
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ অনার্স-মাস্টার্স কলেজ শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য আয়োজিত মানববন্ধনে সমিতির সভাপতি নেকবর হোসাইন
একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের এমপিওভুক্ত করুন, নতুবা আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো। আমরা চাই না, দেশের চলমান সঙ্কটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনো আন্দোলন করতে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনি আমাদের মায়ের মত, আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আপনি আমাদের এমপিওভুক্ত করার ব্যবস্থা করুন।”
নেকবর হোসাইন বলেন, “আজকে একজন গার্মেন্টস শ্রমিকও যখন ৫০০০ হাজার টাকা বেতন পায়। সেখানে আমরা শিক্ষকরা কেউ কেউ নামমাত্র ২৫০০-৩০০০ টাকা পেয়ে থাকি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শিক্ষকরা ছেলে-মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো বিতরণ করি। কিন্তু আমরা কীভাবে বেঁচে আছি তার খবর কেউ রাখে না।”
বক্তব্য দানকালে তিনি সরকারে কাছে চারদফা দাবি তুলে ধরে বলেন, “বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শাখার শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে। নিয়োগ লাভের তারিখ থেকে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া এনটিসিআরএর মাধ্যমে করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করতে হবে।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, বাঅমাকশিস উপদেষ্টা এটিএম মমতাজুল করীম, বাঅমাকশিস সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
নিউজবাংলদেশ.কম/টিএ/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম