জবি ইস্যুতে বুধবার সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ের মিটিং শেষে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে বিকাল ৩টায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ইউজিসি থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি গেছে। বুধবার সভা নির্ধারিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর হবে। আমরা ইউজিসির সাথে আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম সেনাবাহিনীকে কাজ দেয়ার ব্যাপারে।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এই কার্যক্রম আরো সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা বিবিধের সেক্টরে আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
এদিকে সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আহমেদ শিবলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভা আগামী ১৫ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে এ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
এতে সভার আলোচ্যসূচি হিসেবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর, অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং বিবিধ।
এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে ওই সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার বা প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
এর আগে গতকাল রবিবার তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে গণ-অনশন শুরু করে জবি শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এই সিদ্ধান্ত আসার পর নতুন তিন দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো-
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল মিটিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালভাবে সকলের সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যত দিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয়, তত দিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি