News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ২৯ এপ্রিল ২০২০
আপডেট: ০৪:২৭, ৫ মে ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতেই এমপিওভুক্তির সুখবর পেল নতুন ৬৩৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

করোনা পরিস্থিতিতেই এমপিওভুক্তির সুখবর পেল নতুন ৬৩৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটির মধ্যেই দেশের এক হাজার ৬৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুখবর পেল। এগুলোর সবই স্কুল ও কলেজ। নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের তালিকা চূড়ান্ত করে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন এমপিও বেতন কোড বরাদ্দ দিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাঠিয়ে মাউশির মহাপরিচালককে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ফেসবুকে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

চূড়ান্ত অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকার মধ্যে নিম্ন-মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৩০টি, উচ্চ মাধ্যমিক (কলেজ) পর্যায়ের ৯২টি, মাধ্যমিক পর্যায়ের ৯৯১টি, স্নাতক (পাস) পর্যায়ের ৫২টি এবং উচ্চ মাধ্যমিক (স্কুল অ্যান্ড কলেজ) পর্যায়ের ৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে কোড দিয়ে আলাদা আদেশ জারি করা হয়েছে।

শিক্ষক কর্মচারীরা ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকেই বেতন-ভাতা প্রাপ্য হবেন বলে আদেশে বলা হয়।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী, চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত এসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এমপিও কোডসহ বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়োগকালীন সময়ের বিধিবিধান, পরিপত্র, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে।

যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে সে প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে।

নিয়মানুযায়ী এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের অনলাইনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করে তাদের এমপিও কার্যকর করবে, অর্থাৎ তারা বেতন-ভাতা পাবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৩ অক্টোবর গণভবনে সারাদেশের দুই হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করেন। সাড়ে ৯ বছর পর নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওওভুক্তি ঘোষণা করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে আরও ৭টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা সেসব প্রতিষ্ঠানের সার্বিক তথ্য যাচাই বাছাই করে বুধবার এমপিওভুক্তির চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপণ জারি কার হলো।

এদিকে, স্কুল ও কলেজের এমপিও পাওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গেলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা বুধবার পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। শিগগিরই তা চুড়ান্ত করতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়