News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:০০, ৮ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১১:৩৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম গ্রিক আদলের মঞ্চ জাবিতে

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম গ্রিক আদলের মঞ্চ জাবিতে

জাবি প্রতিনিধি: দেশের সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে খ্যাত একমাত্র আবাসিক ক্যাম্পাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি চর্চার মূলকেন্দ্র সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ। এটি টিএসসির অন্যতম অংশ।

লাল সিরামিক ইটের তৈরি এ মঞ্চটি ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রেখে খোলা আকাশের নিচে গ্রীক এপিডোরাস থিয়েটারের আদলে নির্মিত এটি। গ্রিক আদলে ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম জাবিতে এ ধরনের মঞ্চ নির্মাণ করা হয়।

এ মঞ্চটির পরিকল্পনা করেছিলেন, নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন, চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার ও নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। স্থপতি আলমগীর কবিরের নকশায় ১৯৯২ সালে এটি নির্মিত হয়। সেসময় ভিসি ছিলেন অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী।

জ্ঞানার্জন, বিনোদন কিংবা বন্ধুদের নিয়ে আড্ডার জন্য সবার কাছেই এ স্থানটি জনপ্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের সব কার্যক্রম এ মঞ্চের মাধ্যমে অনুষ্টিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, আনন্দন, জলসিঁড়ি, বাংলা নাট্যদল, জুডো ও ধ্বনিসহ অসংখ্য সংগঠন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংগঠনগুলো তাদের নাটকের মাধ্যমে মঞ্চটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছে একটি জনপ্রিয় ও আগ্রহের স্থানে পরিণত করেছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নাট্য উৎসবে নৃপতি জোন্স, এলেকশান ক্যারিকেচার, বউ, দা আউটসাইডারসহ বিভিন্ন নাটক এ মঞ্চে মঞ্চায়িত হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার দর্শক একসাথে বসে এ মঞ্চে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে।

মুক্ত এ মঞ্চটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেও মনে করিয়ে দেয় সেলিম আল দীন, হুমায়ুন ফরিদী, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফারুক আহমেদ, সজল ও সুমাইয়া শিমুর মতো অসংখ্য  সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের। যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বা শিক্ষক ছিলেন।

এ মঞ্চের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতি চর্চা করতেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, নাট্য উৎসব বা যে কোনো বিশেষ দিন মানেই মুক্ত মঞ্চকে অপরূপ সাজে সাজানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিক কর্মকান্ড সচল রাখার জন্য সেলিম আল দীন মুক্ত মঞ্চের ভূমিকা অদ্বিতীয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনে করেন, সংস্কৃতির রাজধানীর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে মুক্ত মঞ্চকে আরো সমৃদ্ধ করা দরকার। পাশাপাশি তা সংরক্ষণও করতে হবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়