News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৩১ মে ২০২০
আপডেট: ০৪:২৮, ৩ জুন ২০২০

এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৮২.৮৭ শতাংশ

এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৮২.৮৭ শতাংশ

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
এর মধ্যে, এসএসসি পরীক্ষার নয়টি বোর্ড মিলে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ ও কারিগরিতে ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ।
রোববার অনলাইন লাইভের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বছরের ফলাফলের বিস্তারিত জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করা হয়।
এ বছরের ফলাফলে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮০ দশমিক ১৩ শতাংশ।
গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ বছর তা বেড়ে ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হলো।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তাত্ত্বিক পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ৬ মার্চ শেষ হয়। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় সংখ্যা ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী।
এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানানো হবে না। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। তবে পরীক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট, ঢাকা বোর্ডের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট এবং এসএমএসে ফল জানতে পারবে। এসএমএসে দুভাবে ফল জানানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
একটি হচ্ছে, ফল প্রকাশের পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে এসএমএস করলে ফিরতি এসএমএসে ফল চলে যাবে। এই পদ্ধতিতে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ঝক্কিতে পড়ে বলে অভিযোগ আছে।
এ কারণে এবার ফল প্রকাশের পরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএসে শিক্ষার্থীর বাসায় মোবাইল ফোনে তা (পরীক্ষার ফল) পৌঁছানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ছাত্রছাত্রীদের রোলনম্বর প্রাক-নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ মে এই প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এতে তেমন একটা সাড়া মেলেনি। শুক্রবার বেলা ১টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত ১২ দিনে মাত্র ৫৫ শতাংশ প্রাক-নিবন্ধন হয়েছে। সারা দেশে মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। কিন্তু ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩১টি মোবাইল নম্বর প্রাক-নিবন্ধন হয়েছে।
বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, একই রোলের বিপরীতে একাধিক মোবাইল ফোনের নিবন্ধন আছে। সেই হিসাবে মোট পরীক্ষার্থীর অর্ধেকও নিবন্ধন করেনি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী মনজুরুল কবীর বলেন, “প্রাক-নিবন্ধন আশানুরূপ নয়। তবে যারা নিবন্ধন করতে আগ্রহী তাদের সুযোগ দিতে সময় আরও ১৪ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।”
তিনি বলেন, “যারা প্রাক-নিবন্ধন করবে ফলাফল প্রকাশের পর তাদের দেয়া মোবাইল নম্বরে সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জিপিএ গ্রেডসহ ফল পৌঁছে যাবে। তবে প্রাক-নিবন্ধন না করলেও কোনো উদ্বেগ নেই। এবারও আগের মতো অনলাইনে বা ওয়েবসাইট ও টেলিটকে এসএমএস করে ফল জানার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে এবং পরীক্ষার্থীর স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফল পাওয়া যাবে।”
জানা গেছে, যে কোনো মোবাইল অপারেটরের নম্বর থেকেই প্রাক-নিবন্ধন করা যাচ্ছে। এজন্য টেলিটকের সিম বাধ্যতামূলক নয়। নিবন্ধন করতে শিক্ষার্থীকে তার SSC পরীক্ষার Board-এর নামের প্রথম তিন অক্ষর (যেমন ঢাকা হলে DHA), এরপর পরীক্ষার Roll ও পরীক্ষার Year লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতি এসএমএসের জন্য দুই টাকা চার্জ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের রেওয়াজ আছে। সেই হিসাবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে ফল তৈরির কাজ বন্ধ ছিল।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়