সরকারি কর্মচারীরা চুরি করেছে ৮০ লাখ ডিম!
সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক ধরনেরই থাকে। তারাও মানুষ। তাই চুরির অভিযোগও থাকে। কিন্তু তাই বলে ডিম চুরি! তা-ও আবার মাত্র কজনে মিলে আশি লাখ ডিম চুরি! হ্যাঁ, এমন ঘটনা ঘটেছে কমিউনিস্ট দেশ কিউবাতে।
কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা গ্রানমা সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, এ ঘটনায় ১৯ জন সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগগুলো হচ্ছে-- খাদ্য সামগ্রী চুরি, ভুয়া বিলপত্র তৈরি ও অন্যান্য অপরাধ। পত্রিকাটি জানায়, যোগসাজশের মাধ্যমে এসব ব্যক্তি ওই পরিমাণ ডিম কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। এরা সরকার পরিচালিত হাভানাভিত্তিক ডিম সরবরাহ কোম্পানির কর্মচারী যাদের মধ্যে আছেন বেশ কয়েকজন নির্বাহী, হিসাবরক্ষক, গাড়িচালক ও অন্যান্য ক্ষেত্রের কর্মচারী।
গ্রানমা পত্রিকার দেড়পৃষ্ঠা জুড়ে ছাপানো ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মাঝে ওই ব্যক্তিরা সরকারি ডিম সরবরাহ গুদাম থেকে ৮০ লাখ ডিম লোপাট করে কালোবাজারে বিক্রি করে দেন। এতে কোম্পানির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তিন লাখ ৫৬ হাজার মার্কিন ডলার। এই অপরাধের দায়ে সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযুক্তদের আট থেকে ২০ বছরের জেলদণ্ড আশা করছেন।
পত্রিকাটি লিখেছে, এ ধরনের ক্ষেত্রে অপরাধীদের আইনের পুরো ওজনের স্বাদ আস্বাদন করানোর দরকার আছে। একই সঙ্গে তাদেরকে নিজ নিজ পরিবার ও সমাজের সামনে অসম্মানিতও হতে হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রো দেশটিতে দুর্নীতি বিরোধী কঠোর অভিযান শুরু করেছেন। কমিউনিস্ট শাসিত কিউবায় দুর্নীতির ডালপালা অনেক গভীরে বিস্তার লাভ করেছে। রাউলের দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপের সূত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ ক’জন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিদেশি ব্যবসায়ী ধরা পড়েন। এরা সবাই বড় ধরনের ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন।
কিউবায় রেশনকার্ড ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। সরকারি এ ব্যবস্থায় নাগরিকরা ডিমসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য ন্যায্যমূল্যে পেয়ে থাকেন।
নিউজবাংলদেশ.কম/একে
নিউজবাংলাদেশ.কম