আতঙ্কে রোগী কমছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
মিরসরাই: মিরসরাই উপজেলার পাঁচ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা হুমকির মুখে। হরতাল-অবরোধের কারণে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের এই গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা। রোগ-শোক নিয়েও তারা বাসায়ই দিন কাটাচ্ছে!
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনশ থেকে সাড়ে তিনশত রোগী নিয়মিত আসে। আউটডোরে দৈনিক দুশর বেশি রোগী থাকে। কিন্তু হরতাল অবরোধের কারণে একশতে নেমে এসেছে। আউটডোর ও ইনডোরে এখন দৈনিক দেড় থেকে দুশ রোগী হয়। তবে কখনো কখনো তা একশতে নেমে আসে।
এদিকে উপজেলার বিভিন্নস্থানে গত কয়েক মাসে অর্ধশতাধিক গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। আগুনে দগ্ধ হয়েছে ২০জনের বেশি। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আগুনে দগ্ধ রোগীদের জন্য চিকিৎসা অপ্রতুল। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়। সম্প্রতি একটি মালবাহী ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বত্তরা। এতে ট্রাকের হেলপার নজরুল ইসলাম দগ্ধ হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাশেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার শরীরের ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা যায়।
সূত্র জানায়, সাধারণ মানুষ রোগে শোকে কষ্ট করলেও আতঙ্কের কারণে হাসপাতালে যাচ্ছে না। শুধু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নয় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতেও রোগী কমেছে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (মস্তাননগর হাসপাতাল) গিয়ে দেখা যায়, আউটডোরে ১২জন রোগী রয়েছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মস্তাননগর হাসপাতালের ইনডোরে পুরুষ ওয়ার্ডে ছজন এবং মহিলা ওয়ার্ডে আছে মাত্র নজন রোগী।
মাতৃকা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মিরসরাই সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি ডাঃ জামশেদ আলম জানান, হরতাল অবরোধের কারণে হাসপাতালে রোগী আসতে পারছে না। অনেকে রোগ নিয়ে বাড়িতে বসে কষ্ট করছে। গত এক মাসে প্রায় রোগী কমেছে কয়েক গুন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তোবারক উল্ল্যা বায়োজিত চৌধুরী জানান, হরতাল ও অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না। তারা আতঙ্কে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। হাসপাতালে ইনডোর ও আউটডোরে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম