মহাসড়কের পাশে বিদ্যালয়, শঙ্কায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন অংশে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠেছে অন্তত ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার নয়টি উপজেলায় মোট এক হাজার ৮৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২০টি বিদ্যালয়ের অবস্থান একেবারেই মহাসড়কের সন্নিকটে। এসব বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে কতজন শিশু শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই কোনো দপ্তরে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মহাসড়কের ১০ মিটারের মধ্যে কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করার আইন না থকলেও এ আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় ঢাকা-সিলেট এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রামপুর, সোহাগপুর, রাজামারিয়াকান্দি, শাহবাজপুর, বুধন্তিসহ বিভিন্ন অংশে গড়ে ওঠেছে বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এসব বিদ্যালয়ে প্রতিদিন পাঠদান শেষে শিশু শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক পারাপারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে মহাসড়কে জেব্রা ক্রসিং ও স্পিডব্রেকার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা স্থায়ী কমিটির সদস্য এম.এ.এইচ মাহবুব আলম। তিনি নিউজবাংলাদেশকে বলেন, জেব্রা ক্রসিং ও স্পিডব্রেকার না থাকায় প্রতিনিয়ত মহাসড়কের পাশের বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক বলেন, মহাসড়কের পাশে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো রয়েছে সে বিদ্যালয়গুলোতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্যে সরকারের প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশু শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক পারাপারের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম