News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:০০, ৪ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৮:২৭, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ৬৭ ভাগ ইটভাটা

লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ৬৭ ভাগ ইটভাটা

ঢাকা: দেশে বর্তমানে আট হাজার পাঁচ শ’টি ইটভাটার মধ্যে ৬৭ শতাংশ ইটভাটারই লাইসেন্স নেই। এগুলোর মধ্যে মাত্র এক হাজার নয় শ’টি ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটা রয়েছে। এছাড়াও অনেক ইটভাটাতেই সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।

বুধবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের ইটভাটার ধরন ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি জরিপ ও এর প্রভাব নিরুপন করে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের ভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। অধিকাংশ ইটভাটারই পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স নেই। আধুনিক প্রযুক্তির পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে এক শ’ ২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি বা ড্রাম চিমনি। বেশির ভাগ ইটাভাটাই নিয়মবহির্ভূতভাবে স্থাপন করা হয়েছে লোকালয় তথা মানুষের বসতবাড়ি, গ্রাম-গঞ্জ, শহর বন্দরের অতিসন্নিকটে, কৃষি জমিতে, নদীর তীরে, পাহাড়ের পাদদেশে। এ ছাড়া ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে আবাদি জমির উপরিভাগের মাটি, নদীর তীরের মাটি ও পাহাড়ের মাটি। কাঠ পোড়ানো ও স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনি ব্যবহার করায় ইটভাটাগুলোতে নির্গত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া। এতে ভাটার পার্শ্ববর্তী এলাকার জনস্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের গত মৌসুমের তথ্য অনুযায়ী ইটভাটার সংখ্যা পাঁচ হাজার আট শ’ ৭৯টি। এর মধ্যে দুই হাজার সাত শ’ ৭৮টি বৈধ (পরিবেশগত ছাড়পত্র রয়েছে), তিন হাজার ৯৯টি অবৈধ (পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই) এবং তিন শ’ একটি ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট। অর্থাৎ ৪৭.২৫% বৈধ এবং ৫২.৭৫% অবৈধ। ২৯টি জেলা থেকে প্রাপ্ত পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের গত মৌসুমের তথ্য অনুযায়ী ইটভাটার সংখ্যা যথাক্রমে তিন হাজার ৯৭টি ( বৈধ এক হাজার তিন শ’ ৪৯টি - ৪৩.৫৬%, অবৈধ এক হাজার সাত শ’ ৪৮টি- ৫৬.৪৪%) এবং দুই হাজার সাত শ’ ২৪টি ( বৈধ এক হাজার চার শ’ ৪৪টি - ৫৩%, অবৈধ এক হাজার দুই শ’ ৮০টি - ৪৭%)। পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় উপকূলীয়, পাহাড়ি, বরেন্দ্র এলাকার জেলাসমূহে ব্যাপক সংখ্যক ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটা রয়েছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটায় মৌসুমে গড়ে ২০ লাখ ইট পোড়ানো হয়। এক লাখ ইট পোড়াতে এক হাজার আট শ’ মন কাঠ লাগে। এক হাজার নয় শ’টি ভাটায় কাঠ লাগে ২৫ লাখ ৫২ হাজার নয় শ’ ৬০ টন। এছাড়াও এক শ’ ২০ ফুট চিমনিবিশিষ্ট ভাটায় কাঠ পোড়ানো হয়। অন্যান্য পদ্ধতির ভাটায় মৌসুমে গড়ে ৪০ লাখ ইট পোড়ানো হয়। এক লাখ ইট পোড়াতে গড়ে ১৮ টন কয়লা লাগে। ছয় হাজার সাত শ’টি ভাটায় কয়লা লাগে ৪৮ লাখ ২৪ হাজার টন।

 

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পবার সম্পাদক মনজুর হাসান দিলু, সহ-সম্পাদক আবুল হাসনাত, মো: মুসা, পবার সমন্বয়কারী আতিক মোরশেদ, পবার সদস্য মিজান শরীফ খোকা, পীসের মহাসচিব ইফমা হোসাইন প্রমুখ।

 

নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএস/এফই

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়