বাঞ্ছারামপুরে ইউএনওর বিরুদ্ধে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রসচিবদের কাছ থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম।
চিঠিতে বলা হয়, বাঞ্ছারামপুরে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার সাতটি কেন্দ্র রয়েছে। উপজেলা সদরের বাঞ্ছারামপুর এসএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৪৪ হাজার টাকা এবং অন্য কেন্দ্র থেকে ৪৫ হাজার করে টাকা ইউএনওর জন্য ধার্য করা হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ইউএনও সাহেবের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে টাকা চাওয়ার বিষয়টি শুনে কেন্দ্রসচিবদের নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি আমার কক্ষে বৈঠক করি। সে সময় কেন্দ্রসচিবেরা ইউএনওর টাকা চাওয়ার বিষয়টি আমার কাছে স্বীকার করেন। পরে আমি তাঁদের ইউএনওকে কোনো টাকা-পয়সা না দিতে বলি।
বাঞ্ছারামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অন্য বছরের চেয়ে এ বছর ইউএনও স্যার বেশি টাকা চেয়েছেন। কাটছাঁট করে কমানো হয়েছে। ৪৪ হাজার থেকে কমিয়ে পরে ২০-২৫ হাজারে আইছে। আর এই টাকা ইউএনও খাতে খাতে দেখাইয়া টাকার কথা বলেছেন, ডিসি অফিস আছে, ওসি আছে, ওনার নিজের অফিস আছে-এইগুলি মিলাইয়া টাকার কথা বলছেন। এত টাকা দেওয়া হলে কেন্দ্রে অন্য বিদ্যালয় থেকে বেঞ্চ আনা-নেওয়া কষ্ট হবে।’
শাহ্ রাহাত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব আবদুল করিম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ইউএনওকে ওই টাকা দিতে আমাদের না করেছেন। তবে বোর্ড থেকে কেন্দ্রের একটা খরচ আসে। আমরা ওই টাকা থেকে ইউএনওকে টাকা দিচ্ছি।
এ ব্যাপারে ইউএনও মামুনুর রশিদ বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়টি ঠিক নয়। পাবলিক পরীক্ষার বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোনো এখতিয়ার নেই। আমি চাঁদা দাবি করেছি, চিঠিতে এ রকমটা উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে আমি ফোনে কিছুই বলতে পারব না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি, তা নিয়ে জেলায় সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম