‘ঠিকাদার আ.লীগের ইমেজ নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে’
হবিগঞ্জ: ঠিকাদার মহিবুর রহমান আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মহিব একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক হওয়ায় সরকারের উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। বারবার তাকে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের পুনঃনির্মাণ কাজ শেষ করতে তাগাদা দেয়া হলেও তাতে কোনো ফল হচ্ছে না। নিউজবাংলাদেশকে একথা বলেছেন হবিগঞ্জের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. আব্দুল মজিদ খান।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ মে এ সড়কটি পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো কাজই শুরু করেনি মহিবুর রহমান নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়ক বিভাগ অচিরেই কাজ শুরু হওয়ার কথা বললেও বাস্তবে দেখা গেছে, ৩-৪ জন শ্রমিক দিয়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে।
এ অবস্থায় ঠিকাদার কাজটি সময়মতো শেষ করতে পারবেন কীনা এ নিয়ে সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. আব্দুল মজিদ খান আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
নিউজবাংলাদেশকে তিনি বলেন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব তাকে জানিয়েছেন, চলতি বছরের মধ্যে কাজটি ভালোভাবে শুরু করা না হলে এ প্রকল্পটি বাতিল করা হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে গত বছরের ২৫ নভেম্বর সড়কটি পুনর্নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। এজন্য নিয়োগ দেয়া হয় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার ঠিকাদার মহিবুর রহমান নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। কার্যাদেশের ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে লোকদেখানো কাজ চালানো হচ্ছে।
এ রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীরা নিউজবাংলাদেশকে জানায়, এ সড়কে চলাচল করতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। যানবাহনেও আদায় করা হয় নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া।
যানবাহন চালকরা নিউজবাংলাদেশকে জানায়, সড়কটি খানাখন্দে ভরা। এ কারণে এ রাস্তায় চলাচল করতে যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চলতে চলতে প্রায়ই মাঝরাস্তায় এসে বিকল হয়ে যায় যানবাহন। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে গন্তব্যে পৌঁছতে।
ভুক্তভোগিরা নিউজবাংলাদেশকে জানায়, ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি সংস্কার কাজ নিয়ে চলছে নানা টালবাহানা। রাস্তা সংস্কারে প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও জনবল নিয়োগের কোনো আলামত চোখে পড়ে না।
এ ব্যাপারে জানতে ঠিকাদার মহিবুর রহমানের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
বানিয়াচং বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন নিউজবাংলাদেশকে জানান, ঠিকাদার কাজ না করায় যান চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এলাকার কয়েক লাখ মানুষের সঙ্কট এখন চরম আকার ধারণ করেছে। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণেই ব্যবসার ক্ষেত্রে যানবাহনের ভাড়া দ্বিগুণ গুনতে হয়। এর ফলে লোকসান হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাদেশকে জানান, সময়মতো কাজ শুরু না হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঠিকাদারকে মৌখিক ও লিখিতভাবে কাজ শুর করার কথা জানানো হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম