মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের সদস্যের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাখ্যান
মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের একমাত্র জীবিত সদস্য ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করেন নি। পুরস্কারের জন্য নাম ঘোষণার পরপরই এই সম্মাননা নেবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
বুধবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে অধ্যাপক মোজাফফরের ‘অনাগ্রহের’ কারণে শেষ পর্যন্ত তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তদের পরিচিতিমূলক গ্রন্থেও তার নাম রাখা হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, "উনি নিতে আগ্রহী নন। এজন্য উনার নাম ড্রপ করা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মন্ত্রিত্ব নিতে অস্বীকার করেছিলেন ৯৩ বছর বয়সী রাজনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের একমাত্র জীবিত সদস্য ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।
বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার প্রবর্তণের পর থেকে
এ পর্যন্ত ২১২ জন ব্যক্তি ও ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে তা প্রত্যাখ্যানের ঘটনা এই প্রথম।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম