যৌতুকের অভিশাপ
স্ত্রীর পর স্বামীরও আত্মহত্যা
দিনাজপুর: পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীর আত্মহত্যার একদিন পরই ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন স্বামী।
মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে স্বামী বিশ্বনাথ রায় কাঞ্চনের (৩০) ট্রেনে কাটা লাশ উদ্ধার করে গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জিআরপি সূত্রে জানা যায়, একবছর আগে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের বড়হরিপুর চান্দিনাপাড়া গ্রামের খোকা রায়ের ছেলে বিশ্বনাথ রায় কাঞ্চনের সঙ্গে পঞ্চগড় জেলা শহরের লতা রানী রায়ের (২৩) বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ীর লোকজন তাকে নির্যাতন করে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত রোববার সকাল ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে লতা রানী রায় নিজ ঘরের শয়নকক্ষে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্বতীপুর ল্যাম্ব হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় এবং সোমবার সকাল আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লতা রানী রায় মারা যান। লতা ছয় মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন।
অনাগত সন্তানসহ স্ত্রীর এভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি স্বামী বিশ্বনাথ রায় কাঞ্চন। স্ত্রীর মৃত্যুর একদিন পরই মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর রেলওয়ে স্টেশনের গেটের সামনে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিকেলে স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পেয়ে পার্বতীপুর রেলওয়ে পুলিশকে জানালে রাত আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পার্বতীপুর জিআরপি থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, “ঘটনাটি সকালে হলেও দেরিতে সংবাদ পাওয়ায় দেরিতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি আত্মহত্যা বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এরপরেও তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ
নিউজবাংলাদেশ.কম