News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২৫ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ০৫:৪৩, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

ঝিনাইদহ জেলা আ. লীগের সম্মেলন আজ

ঝিনাইদহ জেলা আ. লীগের সম্মেলন আজ

ঝিনাইদহ: দীর্ঘ এক দশক পর ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বুধবার স্থানীয় ওয়াজের আলী স্কুল মাঠে সকাল ১০ টায় এ সম্মেলন উদ্বোধনের কথা রয়েছে। সম্মেলনকে ঘিরে জেলা শহরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

সম্মেলনটি উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। এ ছাড়াও দলটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বাবু প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে দীর্ঘদিন পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে নেতাকর্মীদের মাঝে। মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঝিনাইদহ শহর। নিজ প্রার্থীর সমর্থকরা দিনে ও রাতে প্রার্থীর কাঙ্খিত পদের সমর্থনে মিছিল ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা শহরের প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে, স্থাপনায় ব্যানার ও পোষ্টারে ছেয়ে গেছে।

জেলার ৬ জন প্রভাবশালী নেতা ৬ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে লড়ছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য। এর মধ্যে সভাপতি পদের দৌড়ে রয়েছেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান সভাপতি আবদুল হাই এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ও সদর পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রশীদ।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০০৫ সালের ২৫ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

অন্যদিকে একাধিক গ্রুপিংয়ের কারণে এ সম্মেলনে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝে এ নিয়ে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তবে এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর সার্কেল এএসপি গোপিনাথ কানজিলাল জানান, সম্মেলনকে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। সম্মেলন কেন্দ্রের চারপাশসহ জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। থাকছে গোয়েন্দা নজরদারি। ফলে শান্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসআরআর/এফই

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়