News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:১০, ২৪ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ০৫:৪৪, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

সরকারি প্রতিষ্ঠান

অনিষ্পন্ন অডিট জাতীয় বাজেটের তিন গুণ!

অনিষ্পন্ন অডিট জাতীয় বাজেটের তিন গুণ!

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে অনিষ্পন্ন অডিটের সংখ্যা জাতীয় বাজেটের প্রায় তিন গুণ। এর সংখ্যা আট লাখ ৫৩ হাজার ৩১৪টি। অর্থের পরিমাণ ৬ লাখ ১৫ হাজার ৬০৬ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা।

২০১৪-১৫ সালে ঘোষিত বাজেটের পরিমাণের সঙ্গে তুলনা করলে তা প্রায় জাতীয় বাজেটের তিন গুণ। চলতি অর্থ বছরে দুলাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়।
 
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদকে এ তথ্য জানান।
 
মন্ত্রী বলেন, “আপত্তিকৃত অডিট আপত্তিগুলো জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করা হয়। কমিটির মাধ্যমে অনিষ্পত্তি হওয়া অডিট আপত্তিগুলো যাচাই করে প্রযোজ্যক্ষেত্রে নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে অর্থ আদায়ের জন্য অনুশাসন দেয়া হয়।”
 
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মুহিত জানান, “২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনকারী ১০টি ব্যাংকের মুনাফার পরিমান ১০ হাজার ৫২০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ব্যাংকিং খাতে অর্জিত মোট মুনাফার পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ২৬৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
 
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, “বর্তমান সরকারের ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুন মাস পর্যন্ত দেশের উন্নয়ন কাজে বিভিন্ন দাতাদেশ ও সংস্থার সাথে ঋণ বাবদ মোট ২৩ হাজার ৯৬৮ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ প্রায় এক লাখ ৮৬ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকার চুক্তি (কমিটমেন্ট) হয়েছে। এর মধ্যে ওই সময়ে অর্থ ছাড় করা হয়েছে ৯ হাজার ৮৩৬ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ প্রায় ৭৬ হাজার ৭২৬ কেটি টাকা।”
 
পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, ঋণ দেয়ার শীর্ষে রয়েছে বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক লি.। এসময়ে ব্যাংকটি হতে ঋণ ডিসবার্সমেন্ট হয়েছে ৪৬ হাজার ৬৯০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।  দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক লি., ব্যাংকটি ঋণ দিয়েছে ২৮ হাজার ৮৫৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া জনতা ব্যাংক ২৮ হাজার ৭৯৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, আগ্রণী ব্যাংক ২০ হাজার ৯০৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা, এক্সিম ব্যাংক ১৭ হাজার ৩১৯ কেটি ৪২ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ১৬ হাজার ৯০৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা, এবি ব্যাংক ১৬ হাজার ৭৬৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ১৬ হাজার ৫৪৫ কোটি ৬২ হাজার টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১৬ হাজার ৩০৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ঋণ দিয়েছে ১৫ হাজার ২৪৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।
 
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান জানান, মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানিতে বিনিয়োগকারী লাখ লাখ গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেয়া হবে। কোম্পানিটির যে সম্পদ রয়েছে, সেগুলো বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরত দেয়ার ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনাও রয়েছে।

তিনি বলেন, এমএলএম ব্যবসার নামে ডেসটিনি কোম্পানি লাখ লাখ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। যা আমাদের দেশের অর্থনীতির ওপর একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিতে ডেসটিনির যেসব সম্পদ রয়েছে, সেগুলো লিক্যুইড করার একটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের তালিকা ও হিসাব করা হচ্ছে। বিষয়টি সময় সাপেক্ষ বলে একটু দেরি হচ্ছে।
 
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়