অভিজিৎ খুন: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ব্যাখ্যা দাবি
ঢাকা: লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সংসদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ব্যাখ্যা দাবি করেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তিনি খুন হয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি এ ব্যাখ্যা দাবি করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে পয়েন্ট অব অর্ডারে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী এ দাবি জানান। তাহজীব আলম সিদ্দিকী ছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য দেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলম ফরাজী ও হাজী মোহাম্মদ সেলিম।
তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, “এ আঘাত ব্যক্তি অভিজিতের ওপর নয়। মুক্তচিন্তা, মুক্ত মত প্রকাশ, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা অধিকারের ওপর আঘাত, বিশ্ববিবেক এবং মনুষ্যত্বের ওপর আঘাত। এভাবে যদি উগ্রবাদীরা বিচারের ঊর্ধ্বে উঠে তাদের এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড চালাতেই থাকে তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে।”
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্য অবহেলা ও দায়িত্ব পালনে শৈথিল্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “ঘটনার অতি সন্নিকটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। এরমধ্যেই কয়েকজন বিপথগামী উগ্র মৌলবাদী অভিজিতকে খুন করল এবং রীতিমত উধাও হয়ে গেল তা ভাবতেও অবাক লাগে। তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?”
তিনি বলেন, “এখনো যারা ইসলামের দোহাই দিয়ে পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে তারা আসলে শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, সহনশীলতার ধর্ম ইসলামকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। বিশ্ববিবেকের কাছে ইসলামের ভাবমূর্তিকে ভূলুণ্ঠিত করছে। তাই অভিজিৎ রায়ের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আমি ধিক্কার জানাই।”
তাহজীব সিদ্দিকী আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর বিতর্কিত ভূমিকার সুষ্ঠু তদন্ত এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এ বিষয়ে বিবৃতি দাবি জানিয়ে বলেন, “দেশের সব প্রগতিশীল এবং মুক্তচিন্তার মানুষকে ভুল বোঝাবুঝির উর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে মুক্ত বৃদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। আমাদের মিলিত শক্তিই পারবে উগ্রবাদী, মৌলবাদী এবং ইসলামের ভুল ব্যাখা প্রদানকারী এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এজে
নিউজবাংলাদেশ.কম