সিটি নির্বাচন
বদলিতে নিষেধাজ্ঞা ইসির
ঢাকা: তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনুমতি ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিকে বদলী করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার ইসি থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশ মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর পর্যন্ত এ নির্দেশ বহাল থাকবে।
ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ চিঠি মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার কাছে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, ‘সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। এছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার বিধি ৩ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করার জন্য রাষ্ট্রের যে কোনো ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে। সে নির্দেশ পালনে উক্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ বাধ্য।’
বিধিমালার ৮৯ বিধি অনুযায়ী, ‘সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন সময় অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত ইসির অনুমতি ব্যতীত নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করা যাবে না।’
সে অনুযায়ী ইসির অনুমতি ছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটিতে কর্মরত কোনো সরকারি অথবা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত কাউকে এ সময়ে অন্যত্র বদলি করা যাবে না।
এ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা নির্বাচনের কাজে দায়িত্ব পাবেন। আবার ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।’
পাশাপাশি তিন সিটি নির্বাচনে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা কর্মচারিদের আইন মেনে নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য একটি নির্দেশনা জারি করতেও ইসির পক্ষ থেকে মন্ত্রী পরিষদকে বলা হয়।
এর আগে ইসির পক্ষ থেকে ঋণ খেলাপীদের তালিকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়েও একটি চিঠি পাঠানো হয়। শিগগিরই আরও কয়েকটি চিঠি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম