যশোরে বিএনপি নেতার রহস্যময় জীবনযাপন!
যশোহর: উপশহর ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান। এলাকায় তিনি পাগলা মিজান নামেই পরিচিত। তার গতিবিধি ও কর্মকান্ড নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিতর্ক। মিজান সাধারণত রাতের বেলায় চলাফেরা করেন।
তিনি উপশহর বি-৫১ নম্বর বাড়িতে বসবাস করেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মিজানের পুরো পরিবার অপরাধ জগতের সাথে যুক্ত। তার আয়ের কোনো উৎস এলাকাবাসীর চোখে পড়ে না। তবে চোখে পড়ে তিনি বাজারের ওপর দ্বিতল বাড়ি তুলছেন। একই সাথে বাড়ির সামনে সরকারি জায়গা দখল করে তৈরি করছেন স্থাপনা।
এরই মধ্যে অবৈধভাবে নির্মিত একটি দোকান খাবার হোটেল হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন। এরকম আরো দুটি দোকান নির্মাণাধীন। এলাকাবাসী জানেও না মিজান এসব টাকা কোত্থেকে পাচ্ছেন। আর এনিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে নানা সন্দেহ। এ সন্দেহ উস্কে দিয়েছে নাম্বার ছাড়া একটি ভ্যাসপায় সারা রাত ধরে তার চলাফেরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির শাসনামলে পাগলা মিজান রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিল। এলাকায় চাঁদাবাজি, বাড়ি ও জমি দখল করে তিনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এলাকাবাসী সে সময় তার হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছিল।
সূত্র আরো জানায়, পাগলা মিজানের হাত থেকে ঝিনাইদহ জেলার সাবেক এক এমপির আত্মীয়ও রেহাই পায়নি। বাস থেকে নামার পর বাবলাতলা এলাকা থেকে এমপির আত্মীয়ের কাছ থেকে তিনি ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। অবশ্য ওই টাকা তিনি হজম করতে পারেননি।
এ ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করেছিল। এরপর মুচলেকার মাধ্যমে টাকা ফেরত দিয়ে পাগলা মিজান সে যাত্রায় খালাস পেয়ে যান।
সূত্র জানায়, উপশহরের পার্শ্ববর্তী বিরামপুর এলাকার নিচুবর্ণের সংখ্যালঘুদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের জমি নামমাত্র মূল্যে তিনি লিখে নেন। যারা স্বেচ্ছায় জমি লিখে দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের জমি জোরপূর্বক দখল করে নেন পাগলা মিজান।
এরপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। একই সঙ্গে বদলে যায় পাগলা মিজানও। তিনি আলেমের বেশ ধারণ করেন। সবার চোখোর সামনে ধর্মীয় কর্মকান্ড চালাতে থাকেন। কিন্তু গোপনে চলতে থাকে তার অপকর্ম। এলাকাবাসীর সন্দেহ, তিনি অস্ত্র ও সোনা চোরাচালানে জড়িত। আর এজন্য ব্যবহার করেন নাম্বারহীন ভ্যাসপা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম