‘হরিজনরা বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত’
ঢাকা: নাগরিক সভ্যতার শুরু থেকেই নগর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন তারা, অথচ বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত। আন্তর্জাতিক বর্ণ-বৈষম্য বিলোপ দিবস ২০১৫ উপলক্ষে হরিজন সম্প্রদায় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা একথা বলেন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বর্ণবৈষম্য বিলোপ শীর্ষক এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলংাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ।
এসময় বক্তারা বলেন, পৌরসভায় তাদের স্থায়ী চাকরি হয়নি। উৎসব ভাতা দেয়া হয় না। অবসর ভাতা, মাতৃত্বকালীন সুবিধা তো নেই-ই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হরিজনদের পদে অহরিজনদের চাকরি দেয়া হচ্ছে। এর ফলে অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে হরিজনেরা।
মানববন্ধনে বক্তারা ৪টি দাবি উত্থাপন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হরিজন-দলিতদের জন্য কোটা ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। ২০১২ সালের ২৯ মে সকল বেসরকারি, সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ঝাড়ুদার /ক্লিনার /সুইপার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ কোটা বাস্তবায়নের জন্য পরিপত্র হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য দিবস ২০১৫ উপলক্ষে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণলাল, ঢাকা মহনগর সভাপতি নির্মলচন্দ্র দাস, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার রেজাউল করিম প্রমুখ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিএ/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম