যানজটে নাকাল নাটোরবাসী
৩ বছরেও অন্ধকারে চার লেন প্রকল্প
নাটোর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির পর ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি নাটোর শহরের চার লেন রাস্তার প্রকল্পটি। যানবাহন বেড়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ রাস্তার নাটোর এখন যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে। অসহনীয় যানজটের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় নাটোরবাসী।
নাটোর সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর নাটোরে এক সফরে এসেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় শহরের কানাইখালি স্টেডিয়ামে এক জনসভায় হরিশপুর বাইপাস থেকে বনবেলঘড়িয়া বাইপাস পর্যন্ত মাত্র আড়াই কিলোমিটার রাস্তা চার লেনে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর একে একে কেটে গেছে ৩টি বছর। কিন্তু প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে নাটোরবাসী।
তবে জানা গেছে, সম্প্রতি নাটোর সওজ অধিদপ্তর মাত্র আড়াই কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৫২ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি প্রকল্পটি সেতু মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে। এছাড়া প্রকল্পকৃত রাস্তার দুই পাশে স্থাপনা থাকায় প্রকল্পের ৬০ ভাগ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্যয় করা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
উন্নয়নকর্মী শামীমা লাইজু নিলা নিউজবাংলাদেশকে বলেন, সংকীর্ণ রাস্তা হওয়ার কারণে প্রতিদিন শহরের ট্রাফিক মোড়, স্টেশন বাজার মোড়সহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে মাত্র এক শ’ মিটার রাস্তা পার হতে সময় লাগে আধা ঘন্টা। তাছাড়া রাস্তার পাশে স্কুলগুলো হওয়ার কারণে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যানজটের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে চার লেন রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ হলে দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হবে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে নাটোর পৌরসভা সূত্র জানায়, নাটোর শহরে দুই হাজার ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু রাস্তায় চলাচল করছে পাঁচ থেকে ছয় হাজারের বেশি অটোরিক্সা। এছাড়া ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে যানবাহনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবং সে তুলনায় রাস্তা প্রশস্ত না হওয়ায় যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা।
যানজটের বিষয়ে নাটোর পৌরসভার মেয়র শেখ এমদাদুল হক আল মামুন নিউজবাংলাদেশকে বলেন, রাস্তাটি সড়ক ও জনপদের (সওজ) হওয়ার কারণে পৌরসভা রাস্তাটি প্রশস্ত করতে পারছে না। তবে রাস্তা প্রশস্ত হলে যানজট অনেকটা কমে আসবে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিকরুল ইসলাম নিউজবাংলাদেশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকৃত প্রকল্পের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। সেখান থেকে একনেকের বৈঠকে পাশ হলেই চলতি বছরে টেন্ডার কাজ সমাপ্ত করা যাবে এবং আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু করা যেতে পারে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএইচ/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম