News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৫০, ১৫ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ২৩:২৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

বিমান সংস্থাগুলোর কাছে পাওনা ৫৮ কোটি টাকা

বিমান সংস্থাগুলোর কাছে পাওনা ৫৮ কোটি টাকা

ঢাকা: সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিমান সংস্থার কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৫৭ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮৫ টাকা বাকি পড়ে আছে। বারবার তাগিদের পরেও এ টাকা পরিশোধ করছে না তারা। টাকা না পেয়ে অবশেষে ক্ষোভ জানিয়েছে সরকারি হিসাব সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি। আগামী ছমাসের মধ্যে টাকা আদায় করে প্রমাণ জমা দেয়ার তাগিদ দেয় কমিটি।
 
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। এসভায় রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাপনার ওপর ইস্যুভিত্তিক অডিট রিপোর্ট ২০০৯-১০ পর্যালোচনা করা হয়।
 
কমিটি সূত্রে জানা যায়, স্ক্যানিং মেশিন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ অ্যাভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (বিডি) লিমিটেডের কাছে ক্ষয়ক্ষতি বাবদ দুকোটি ২১ লাখ ৩৬ হাজার একশ ৯১ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া গ্যালাক্সি ফ্লাইং অ্যাকাডেমিক রানওয়েসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি বিনামূল্যে ব্যবহারের সুবিধা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।  
 
বিভিন্ন বিমান সংস্থার কাছ থেকে অ্যারোনটিক্যাল ও নন অ্যারোনটিক্যাল চার্জ এবং অন্যান্য  ভাড়া বাবদ আট কোটি ৪৯ লাখ ৪৩ হাজার পাঁচশ ৮২ টাকা, চার কোটি ৪৫ লাখ  দুশ ৩১ দশমিক ৩৮ মার্কিন ডলার বকেয়া রয়েছে বলে অডিট আপত্তিতে উত্থাপন করা হয়।
 
বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কাছে অবতরণ ও অবস্থান চার্জ বাবদ বকেয়া আছে এক কোটি ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ছয়শ ৮৫ টাকা। এসব সংস্থার কাছ থেকে সারচার্জসহ ল্যান্ডিং চার্জ আদায় না করায় বেবিচকের ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৮৩৩ দশমিক ৮২ মার্কিন ডলার ও সারচার্জসহ অভ্যন্তরীণ অবতরণ চার্জ এবং এম্বারকেশন ফি বাবদ নয় কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার নয়শ ৩২ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ও সরকারি সংস্থার মাধ্যমে ব্যবহৃত কক্ষ ভাড়া বাবদ এক কোটি ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৭০৪ টাকা বকেয়া রয়েছে।
 
এর বাইরে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে টার্মিনাল ভবনের বিভিন্ন কক্ষ ও জায়গার ভাড়া বাবদ ২৭ কোটি ৯২ লাখ ৪২ হাজার ৯৭০ টাকা বকেয়া রয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের নিকট ওভার ফ্লাইং চার্জ ও বোর্ডিং ব্রিজ চার্জ বাবদ ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার আটশ ৬৫ দশমিক ২৬ মার্কিন ডলার বকেয়া বাবদ রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে অডিট আপত্তিতে।
 
এসব আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি বিমানের নিকট পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ, বকেয়াসহ যাবতীয় পাওনা আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করার তাগিদ দেয়।
 
কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, বেগম রেবেকা মমিন, মঈন উদ্দীন খান বাদল, এ কে এম মাঈদুল ইসলাম এবং বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশ নেন। প্রধান হিসাব নিরীক্ষক মাসুদ আহমেদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খোরশেদ আলম চৌধুরীও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
 
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/কেজেএইচ
 

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়