১১.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়, ঢাকায় হিমবাহ
ফাইল ছবি
শীতের তীব্রতায় কাঁপছে হিমালয়ের কাছাকাছি উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। সেখানে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় দিনেও বৈরী এই আবহাওয়া বাড়িয়েছে সীমাহীন জনদুর্ভোগ।
গত কয়েকদিন ধরে ৮ থেকে ১১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে আকাশ। এর মধ্যে শুরু হওয়া শীতল বাতাসে জবুথবু জনজীবন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ রেকর্ড হলেও এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার।
এর আগে বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ।
রাজধানী ঢাকায়ও চলছে হিমবাহ। সকাল সাড়ে সাতটায় রাজধানীতে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী শুক্র ও শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও রবিবার থেকে তামমাত্রা ফের কমতে শুরু করবে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (১ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, যা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন দিনাজপুরসহ আশপাশের এলাকায় সূর্যের আলো তেমন না থাকায় এবং উত্তর-পশ্চিমের হিমেল বাতাসে সারাদিন হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হয়।
তাপমাত্রা কমার কারণে সৃষ্টি করছে হিমশীতল বাতাস, যার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় চরম কষ্ট হচ্ছে। তাদের জন্য শীতের তীব্রতা সহ্য করা কঠিন হয়ে উঠেছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলাটি হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে থাকবে একাধিক মৃদু শৈত্য প্রবাহ।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কনকনে শীত অনুভূত হলেও আজ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি