News Bangladesh

জাফর আলম, কক্সবাজার সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:০৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
আপডেট: ১৭:৫৫, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফে ফের ৮ জনকে অপহরণ, ২৪ ঘণ্টায় অপহৃত ২৭

টেকনাফে ফের ৮ জনকে অপহরণ, ২৪ ঘণ্টায় অপহৃত ২৭

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

কক্সবাজারের টেকনাফে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারো ৮ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে অপহরণকারীরা। হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক থেকে দুইটি সিএনজির চালকসহ ৭ জনকে নিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অপহৃত ৭ জনের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিকসহ ১৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এখনো তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে এই এলাকায় মোট ২৭ জন অপহরণের শিকার হলেন।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ৭টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং -শামলাপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

শামলাপুর সিএনজি'র লাইনম্যান আব্দুর রহিম জানান, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দু’টি সিএনজি হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালা থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা সিএনজি চালকসহ আনুমানিক ৭ জনকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে। ডাকাতদল সিএনজি দুটির গ্লাস ভেঙে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বলে তিনি জানান। তবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।

অন্যদিকে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার মুদির দোকানদার জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈয়দ হোসেন জানান, দোকান থেকে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন অস্ত্রের মুখে রাতে তুলে নিয়ে যায়। এখনো হদিস মিলেনি। 

এদিকে ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শোভন কুমার সাহার নেতৃত্বে এসআই লক্ষণ, এএসআই ইবরাহীমসহ পুলিশের একটি টিম স্থানীয়দের নিয়ে গহীন পাহাড়ে অভিযান চালায়। 

বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শোভন কুমার সাহা বলেন, হোয়াইক্যং- শামলাপুর সড়কে দুইটি সিএনজি থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি। কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে সেটার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, তিনি আরও জানান স্থানীয়দের নিয়ে পুলিশের টিম নিয়ে বাহারছড়া গহীন পাহাড়ে অভিযানে আছি। অপহৃতদের উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের শিকড় তোলা না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। অপহরণকারীদের ধরতে সকল শ্রেণীর মানুষের সহযোগিতাও চেয়েছেন ইনচার্জ।

এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিকসহ ১৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এখনো তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃত সবার কাছ থেকে ১ লাখ করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অপহৃতদের পরিবার। এদিকে সকাল থেকে পুলিশ, র‍্যাব ও বনবিভাগের কর্মীরাসহ হ্নীলার রঙ্গিখালী হয়ে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়