সেন্টমার্টিনে সাগরে আটকা পড়া পর্যটক উদ্ধার
ছবি: নিউজবাংলাদেশ
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে আটকা পড়া এমভি গ্রিন লাইন জাহাজ থেকে ৭২ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। এতে সংকটে পড়া পর্যটকসহ স্বস্তি প্রকাশ করেছে কোস্টগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌবাহিনী ও প্রশাসন।
আটকা পড়ার ৩ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও নৌবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী বলেন, ইঞ্জিন বিকল হয়ে জাহাজটি আটকা পড়েছিল। ৭২ জন যাত্রীকে নিরাপদে জাহাজ থেকে নামানো হয়েছে। তাদের জন্য তিনটি বাস রাখা হয়েছিল, এসব বাস দিয়ে তাদের কক্সবাজার পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয়রা সবাই সহযোগিতা করেছে।
জাহাজের এক যাত্রী বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছি। জাহাজ যখন বিকল হয়ে যায়, তখন লাইফ জ্যাকেট পড়তে বলা হয় এসময় যাত্রীরা সবাই কান্না শুরু করে দেয়। আর বড় বড় ঢেউয়ের আঘাতে জাহাজের ভেতরে পানি ঢুকছিল, যার কারণে সবাই ভয়ের মধ্য ছিলাম।
এদিকে জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানায়, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে এমভি গ্রিন লাইন নামের পর্যটকবাহী জাহাজটি বৃহস্পতিবার সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুরের আগে জাহাজটি সেখানে পৌঁছায়। পরে বিকেল ৪টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি ঘাট থেকে জাহাজটি ৭২ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা করে। কিন্তু যাত্রাকালে টেকনাফের কচ্ছপিয়া উপকূলবর্তী সাগরে পৌঁছালে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তখন জাহাজটি সেখানে আটকা পড়ে।
জাহাজ কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ইঞ্জিন বিকল হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ স্থানীয়রা পৌঁছে পর্যটকদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে। জাহাজটি সাগরে থাকলেও যাত্রীদেরকে উদ্ধার করে নিরাপদে উপকূলে নিয়ে আসে।
এমভি গ্রিন লাইন-১ এর ইনচার্জ মোহাম্মদ সুলতান বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে জাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়েছে। তবে জাহাজের চালকের দক্ষতায় কোনো দুর্ঘটনা হয়নি। সব যাত্রীকে নিরাপদে তিনটি বাসে করে কক্সবাজার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে প্রতিদিনই ৫টি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি