৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল শুরু
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা পর রাজধানীর জুরাইন রেলক্রসিং থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা সরে যাওয়ার পর পুনরায় চালু হয়েছে ট্রেন চলাচল।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৩টার পর ঢাকা থেকে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস স্টেশন ছেড়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, লাইন ক্লিয়ার থাকায় বিকেল ৩টার পর ঢাকা-পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এ রুটের আরও তিনটি ট্রেন এখনও স্টেশনে আছে। শিগগির এগুলো স্টেশন ছেড়ে যাবে।
সরেজমিনে কমলাপুর রেল স্টেশনের ডিজিটাল স্ক্রীন বোর্ডে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ট্রেনটি শহরতলী প্ল্যাটফর্ম থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি কখন ছেড়ে যাবে তার কোনো সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়নি। মধুমতি এক্সপ্রেস বিকেল ৩টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখনও ছেড়ে যায়নি।
মধুমতি এক্সপ্রেসের যাত্রী শিবলী আহমদ বলেন, বিকেল ৩টার ট্রেন এখনও ছাড়লো না। গত কয়েকদিন ধরে শুধু শুনতেছি অবরোধ আর অবরোধ। রেললাইন কেন অবরোধ করতে হবে! আমাদের মতো সাধারণ মানুষের শুধু ভোগান্তি। জানি না আরও কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
এছাড়া যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ট্রেনটি ছাড়ার সময় পৌনে ৫টা হলেও এটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় জানানে হয়েছে ৫ টা ১০ মিনিট। স্টেশন ঘুরে যাত্রীদের ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
এর আগে সকাল থেকে ১১টা থেকে রাজধানীর জুরাইনে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এতে ঢাকা-পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
একপর্যায়ে পুলিশ-অটোরিকশা চালকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের কারণে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ও খুলনাগামী নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেন ঢাকা ছাড়তে পারছে না। এ ছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা-মাওয়া-পদ্মা সেতু রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি