News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক  || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ধামরাইয়ে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫

ধামরাইয়ে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫

ধামরাইয়ে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকবাহী বাসের সঙ্গে ইটবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে তিন নারী ও এক পুরুষসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন পোশাকশ্রমিক। 

বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে কালামপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের সানোড়া ইউনিয়নের খাগুরতা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর এলাকার একটি গামের্ন্টস কারখানার অর্ধশতাধিক শ্রমিক নিয়ে একটি এসবি লিক বাস কালামপুর সাটুরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। বাটুলিয়া খাগুরতা বাসস্ট্যান্ডে যাওয়া মাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা ইটভর্তি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন শ্রমিক মারা যান। আহত হন অন্তত ১৫ জন।

নিহতরা ধামরাইয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইন নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক বলে পুলিশ নিশ্চিত করলেও তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি। 

পুলিশ জানায়, রাতে খাগুরতা এলাকায় কালামপুরগামী একটি দ্রুতগতির ইটবাহী ট্রাকের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা শ্রমিকবাহী বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের যাত্রীসহ অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, রাতে খাগুরতা এলাকায় একটি শ্রমিকবাহী বাস ও ইটবোঝাই ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলেই বাসে থাকা চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই তিনজন ও হাসপাতালে নেয়ার পর একজন মারা গেছে বলে নিশ্চিত হয়েছি।

ওসি আরও বলেন, নিহতরা সবাই ধামরাইয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইন নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তবে কতজন আহত হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। নিহতদের বিস্তারিত পরিচয়ও এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। 

তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দুনিগ্রাম এলাকার খবুর উদ্দিনের মেয়ে নিপা আক্তার (২৮) ও একই ইউনিয়নের বড় জেঠাইল পশ্চিমপাড়ার জাহাঙ্গীর নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে বাস চালক ছানোয়ার হোসেনের (৩৮) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বালিয়া ইউনিয়নের দুনিগ্রাম এলাকার আওলাদ ফকিরের ছেলে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়