News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ১৪ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ২৩:২৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

আনসারদের প্রশিক্ষণের নামে ২২ লাখ টাকার বাণিজ্য!

আনসারদের প্রশিক্ষণের নামে ২২ লাখ টাকার বাণিজ্য!

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ জেলা আনসার ও ভিডিপি আনসারদের মৌলিক প্রশিক্ষণের নামে অফিসের একটি সিন্ডিকেট ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গত তিনদিন ধরে এই বাণিজ্য চলে। আনসারদের মৌলিক প্রশিক্ষণের নামে এ ঘুষ বাণিজ্যের খবর ফাঁস হয়ে গেলে গোটা জেলায় আলোচনার খোরাক হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সূত্র জানায়, অতি গোপনে ঝিনাইদহ জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয় জনপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা করে নিয়ে ৪৫ জন যুবককে খুলনায় মৌলিক প্রশিক্ষণে পাঠিয়েছে। জেলা কমান্ড্যান্ট এএফএম বদিউজ্জামান, সার্কেল এডজুটেন্ট কামরুল হাসান, কম্পিউটার অপারেটর আকবর, রানার বিপ্লব. গার্ড জাহাঙ্গীর এবং কয়েকজন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা টাকা ভাগাভাগির সময় উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে টাকা লেনদেনের কথা অস্বীকার করেছেন জেলা কমান্ড্যান্ট বদিউজ্জামান। তিনি অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, “যারা অযোগ্য, তারাই এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন।”

একাধিক সূত্র জানায়, ঝিনাইদহ জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ে আনসারদের মৌলিক প্রশিক্ষণের চিঠি আসার পর থেকে অফিসের কম্পিউটার অপারেটর আকবর আলী, অফিসের রানার বিপ্লব ও গার্ড জাহাঙ্গীর টাকা আদায়ে মাঠে নেমে পড়েন। মৌলিক প্রশিক্ষণে যেতে ইচ্ছুক যুবকদের কাছ থেকে কাগজপত্র ও টাকা নিয়ে অত্যন্ত গোপনে তালিকা তৈরি করে রাখা হয়।

অভিযোগ ওঠে, বিভিন্ন মহলের চাপ এড়াতে প্রশিক্ষনের জন্য গত বৃহস্পতিবার লোক দেখানো একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফল নোটিশ বোর্ডে না ঝুলিয়ে অফিসের কর্মকর্তারা সরকারি ও ব্যক্তিগত ফোন বন্ধ রেখে উধাও হয়ে যান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, “মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কোনো আইন-কানুন মানা হয়নি। যোগ্যতা নয়, যে যত বেশি টাকা দিয়েছে তাকেই মনোনীত করা হয়েছে।”

হরিণাকুন্ডু এলাকার রাশেদ নামে এক যুবক জানান, “বাড়ির জমি বন্ধক রেখে তিনি ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করেছিলেন, কিন্ত আনসার অফিসের কম্পিউটার অপারেটর আকবার আলী তার কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করায় তিনি মৌলিক প্রশিক্ষণের সুযোগ পান নি।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক আনসার অফিসার তার নিকটাত্মীয়ের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় প্রশিক্ষণের সুযোগ মেলেনি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে জেলা কমান্ড্যান্ট এএফএম বদিউজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, “আনসার সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণের তালিকা নিয়ে কয়েক দিন খুব ব্যস্ত আছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
                                          
                                                                                           

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়