News Bangladesh

জেলা সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৭ মে ২০২১

ফেনীতে বাড়ির ছাদে কিশোরীর গলাকাটা লাশ, কিশোর আটক

ফেনীতে বাড়ির ছাদে কিশোরীর গলাকাটা লাশ, কিশোর আটক

ফেনী সদরের এক বাড়ির ছাদ থেকে ১১ বছর বয়সী এক কিশোরীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

জেলার পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কালিদহ গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।

নিহত তানিশা ইসলাম ওই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শহিদুল ইসলামের মেয়ে। ফেনী শহরের মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এ এন এম নূরুজ্জামান বলেন, তানিশাকে গলা কেটে হত্যার আগে তাকে রশিতে ফাঁশ দিতে চেষ্টা করেছিল খুনি। তার আগে তাকে বালতির পানিতেও চোবানো হয়।

ঘটনাস্থল থেকে রশি, বালতি, জুতোসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

তানিশার মা তাসলিমা আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি তার বড় মেয়েকে নিয়ে পাশের বাড়ি বেড়াতে যান।  সে সময় তানিশা ও তার বৃদ্ধ দাদি ঘরে ছিলেন।

“রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে তানিশাকে ঘরে দেখতে পাইনি।  বাড়ির ছাদে গিয়ে চিলেকোঠায় তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি।”

ফেনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার বলেন, রাতেই জিঙ্গাসাবাদের জন্য তানিশার আত্মীয় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।

খুনের কারণ সম্পর্কে পুলিশ বা পরিবার কিছু বলতে পারেনি।

তানিশার বড় বোন তাসনুভা ইসলাম বলেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে কারও কোনো ধরনের বিরোধ ছিল না।  ঘটনার সময় পরিবারের অপর সদস্য তানিশার ভাই আশরাফুল ইসলাম গ্রামের মসজিদে ছিলেন।  আর বাবা সৌদি আরব থাকেন।

জেলা পুলিশ সুপার বলেন, থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডির একাধিক তদন্ত দল কাজ শুরু করেছে।

“হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ বা অন্য কোনো কিছু করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তে জানা যাবে।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়