খুলনায় খালে বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি ও মাছ ধরায় অভিযান
ডুমুরিয়ার আড়োদোয়ানিয়ায় প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি, মাছ ধরা ও জোয়ারের পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত করায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে।
মঙ্গলবার চালানো এ অভিযানে পাইপ, নেট-পাটা ও মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের মধ্য বয়ে চলা আঁড়োদোয়ানিয়া খালে এক প্লট ব্যবস্যায়ী বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরির জন্য বড় গাছ, বেড়া, বাঁশ দিয়ে বাঁধ দেয়। তিনি প্রায় ১শ মিটার এলাকার দুই প্রান্তে বাঁধ দিয়ে বালি ভরাট করছিলেন।
এছাড়া প্রায় ২ কিলোমিটার লম্বা ওই খালের বিভিন্ন স্থানে নেট-পাটা দিয়ে চারো ও ঘুগনি দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছিল। এতে জোয়াড়ের পানি বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পলি পড়ে খাল ভরাট হতে থাকে।
স্থানীয় এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও উপজেলা মৎস্য অফিসারের নিকট আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর বাঁধ ও নেট পাটা উচ্ছেদ করে জোয়ারের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে মঙ্গলবার অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে প্রায় ৩০টির মত স্থানে দেয়া নেট পাটা উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া আবাসিক প্লট বিক্রেতার দেয়া ১শ মিটার বাঁধ অপসারণ করে।
এ সময়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল ওয়াদুদের নির্দেশে নেট-পাটা, বাঁশ, পাইপ ও স্যালো মেশিন জব্দ করা হয়।
অভযানকালে ডুমুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম সহকারী উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলামসহ ডুমুরিয়া থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিযর মৎস্য অফিসার আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, প্রবাহমান খালে নেট-পাটা দিয়ে মাছ ধরা সম্পূর্ন বেআইনি। তাছাড়া বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা দণ্ডনীয়। জোয়ারের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে বাঁধ ও নেট পাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অভিযান চলমান থাকবে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে প্রবাহমান খালে কোনরূপ বাঁধ দেয়া যাবে না। তাছাড়া কৃষি জমি ভরাট করে আবাসন প্রকল্প করা দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযানকালে কাউকে পাওয়া যায়নি তাই আর্থিক দণ্ড দেয়া সম্ভব হয়নি তবে নেট-পাটা ও পাইপসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি