নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে রােহিঙ্গা নিহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের রেজুআমতলী বিওপির বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় মো. ইব্রাহিম (৩০) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে।

এসময় তার কাছ থেকে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি একনলা বন্দুক ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয় বলে দাবি বিজিবির।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির সদস্যরা জানতে পারেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার থেকে  বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।

এ সংবাদের ভিত্তিতে রেজুআমতলী বিওপির একটি আভিযানিক টহল দল সীমান্ত পিলার-৩৮ থেকে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩নং ঘুমঘুম ইউনিয়নের বাইশাড়ী এলাকার আমবাগান এলাকায় পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থান নেয়।

৫/৬ জনের একটি দল পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে টহল দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় টহল দল তাদের আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ভিতরে পালিয়ে যায়।

পরে টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাতনামা যুবককে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তার পাশে ইয়াবা সদৃশ বস্তু ও দেশীয় একনলা বন্দুক পড়ে ছিল।

দ্রুত আহত যুবককে চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত যুবককে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম ও ঠিকানা জানিয়েছে। নিহত যুবক কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দ আলমের পুত্র মো. ইব্রাহিম ( ৩০ ) বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিবিজি সূত্র আরও জানায়, গোলাগুলির ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্যও আহত হয়েছেন। আহত বিজিবি সদস্যদের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ।

এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।