কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলে প্রাণ গেল বালকের
কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ হয়ে আব্দুর রহমান (৮) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার মা নিলুফা বেগম (৩০) ও ছোট বোন মারুফা খাতুন (৪) গুরুতর আহত হন।
বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বিদ্বান কাটি বাউশলা গ্রামে। নিহত আব্দুর রহমান বাউশলা গ্রামের ভ্যানচালক মিজানুর রহমানের ছেলে।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামের ভ্যানচালক মিজানুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান তার ছোট বোন মারুফা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশের বিলে খেলা করতে যায়। এ সময় বিলের মধ্যে থাকা পরিত্যক্ত টং ঘরের ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো একটা কৌটা পেয়ে তারা হাতে করে নিয়ে আসে। বাড়ি ফেরার সময় পথিমধ্যে মসজিদের পাশে মা নিলুফা বেগমকে ওই কৌটা দেখানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রহমান মারা যায়। গুরুতর আহত হয় তার মা নিলুফা বেগম ও ছোট বোন মারুফা খাতুন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খবর পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন আহমেদ, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসীম উদ্দীন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ ওহিদুজ্জামানসহ ডিবি পুলিশ বাউশলা বিলের টংঘর, বিস্ফোরিত ঘটনাস্থল ও নিহত শিশুর বাড়ি পরিদর্শন করেন।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর বলেন, দুপুর দুইটার দিকে কয়েকজন লোক নিহত আব্দুর রহমান ও নিলুফা বেগম কে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় ঘন্টাখানেক আগে আব্দুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। তার মা নিলুফা বেগম এর অবস্থান আশঙ্কাজনক।এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসীম উদ্দীন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিস্ফোরিত ককটেলের উৎপত্তিস্থল খোঁজ করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস