ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনো তাকে অল্পমাত্রায় অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “যেহেতু অক্সিজেন দিয়ে রাখায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে না, তাই চিকিৎসকরা আশাবাদী। তবে এখনো অবস্থা ভালো বলা যাবে না। এখনো তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন। যেহেতু তার ফুসফুসের অবস্থা তেমন ভালো না, সেই কারণেই এখনো তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন।”
এর আগে, গত ৪ জুন যখন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কিডনি ডায়ালাইসিস শুরু হয়, সে সময় শারীরিক অবস্থার কারণে ডায়ালাইসিস সম্পন্ন করা যায়নি। যে কারণে তার শারীরিক অবস্থার ‘একটু অবনতি’ হয়। ওইদিন তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ ছিল।
৫ জুন সারাদিনই তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। ওই দিন রাতে তৃতীয়বারের মতো তাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তার কিডনি ডায়ালাইসিসও ভালোভাবে সম্পন্ন করা গেছে। ৫ জুনের তুলনায় শনিবার তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল। ওইদিনও তার কিডনি ডায়ালাইসিস করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষাতেই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্ত হওয়ার পরেই তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীরও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ