লকডাউন হতে পারে ঢাকার যে ৭ এলাকা
ঢাকায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ানোর মাপকাঠিতে উপরের দিকে রয়েছে উত্তরা, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, ধানমন্ডি, কাকরাইল, মুগদা, মগবাজারের মতো এলাকা। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ব্যাপকতা বিবেচনায় নিয়ে রাজধানীসহ দেশের কিছু এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউন করে দেবে সরকার। সে হিসেবে রেড জোন চিহ্নিত করে এই সাত এলাকা লকডাউন হতে পারে।
এছাড়া রাজধানীতে এখন পর্যন্ত এমন ২৩টি এলাকা রয়েছে, যেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা একশ’র বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ঢাকায় ২০ হাজার ৭০৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে মিরপুর এলাকায়। সেখানে ৯৬৯ করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে মহাখালীতে। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৫৭ জন। আক্রান্তের তালিকায় এর পরে আছে উত্তরা, মুগদা ও মোহাম্মদপুর। এ তিন এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩৩, ৪২৮ ও ৩৯৪।
বাকি যেসব এলাকায় সংক্রমিত রোগী বেশি, সেসব এলাকা হলো- যাত্রাবাড়ী (৩৮৭ জন), কাকরাইল (৩০০ জন), ধানমন্ডি (২৯৪ জন), মগবাজার (২৫৫ জন), তেজগাঁও (২৫১ জন), রাজারবাগ (২২১ জন), খিলগাঁও (২১৯ জন), লালবাগ (২০৬ জন), রামপুরা (১৯৭ জন), বাড্ডা (১৯৫ জন), মালিবাগ (১৬৪ জন), গুলশান (১৬৩ জন), বাবুবাজার (১৬২ জন), গেন্ডারিয়া (১৪২ জন), ওয়ারী (১২৪ জন), বাসাবো (১২২ জন), বংশাল (১০৯ জন) এবং আগারগাঁও (১০৮ জন)।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, আগামী রোববার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার কিছু স্থানে জোনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে লকডাউন শুরু হবে। রেড জোনে সবাইকে ঘরে থাকতে হবে, একান্ত প্রয়োজন না থাকলে কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না। ওই এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব জিনিসের দরকার হবে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা আক্রান্তমুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়োলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি