কাজ শেষ, অফিস শেষ
কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা হলেও কোনো কর্মকর্তার কাজ শেষ হলেই তিনি বাসায় যেতে পারবেন, ছুটির জন্য বিকাল ৫টা পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হবে না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এমন নির্দেশনা পেয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় তাদের অধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এমন নির্দেশনা জারি করেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-২ অধিশাখা থেকে জারিকৃত আদেশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে লকডাউন তুলে অফিস খুলে দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সরকারি দপ্তরগুলোতে কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
নির্দেশনাগুলো:
>> কর্মকর্তারা যেন কোনোভাবেই সংক্রমিত না হন সেজন্য ন্যূনতম সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়ে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে অফিসের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করতে হবে।
>> একসাথে ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তা অফিসে থাকবেন না। ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা ঘরে বসে ভার্চুয়ালি অফিস করতে পারবেন। অর্থাৎ একসঙ্গে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা সব সময়ই কানেকটেড থাকবে। কোনো কর্মকর্তা কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না।
>> সকাল বেলায় এসে কেউ যদি দুই ঘণ্টায় কাজ শেষ করতে পারেন, তাহলে কাজ শেষেই তিনি চলে যেতে পারবেন। বিকাল ৫টায় অফিস ছুটির জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে না। কেউ অফিস থেকে চলে গেলে ওই দপ্তরে তার জায়গায় অন্য কেউ অফিসে আসতে পাববেন।
>> অফিসে অবস্থানকালীয় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করতে হবে। যারা অফিসে আসবে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে কর্মস্থলে কাজ করতে হবে। যারা অসুস্থ, বয়স্ক ও গর্ভবতী তারা অফিসে আসবেন না।
>> মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সীমিত পরিসরে অফিস চালুর সময় সবগুলো সরকারি অফিসের জন্যই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি