করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায়। ওই সময়ে মারা গেছেন ৩৭ জন। একই সঙ্গে করোনার উপসর্গ সর্দি-কাশি, জ্বর, গলা ব্যথায় পাঁচ যুবকসহ ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করিম উল্লাহ (৫৩) ও মো. কবীর চৌধুরী নামে দুই জন মারা গেছেন। কবীর পেশায় আইনজীবী ছিলেন। খুলনায় এক নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে তারা মারা যান। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম (৩৯) নগরীর শেখপাড়া বাগানবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। গত সোমবার যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার মুজিবুর রহমানের স্ত্রী তহমিনা বেগম (৩৬) ও ঝিকরগাছা উপজেলার বেতখানা গ্রামের ফারুক হোসেন (৫২) মারা যান। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (মেডিসিন) ও করোনা ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এ তথ্য জানান।
একই উপসর্গে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পাগলা গ্রামের কোনাপাড়া এলাকার ৩২ বছর বয়সি এক যুবককে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। রাজশাহীর বাগমারার বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের লাইব্রেরিয়ান শাখার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম (৪০) মারা গেছেন। কিছুদিন আগে তিনি ঢাকা থেকে এসে এলাকায় দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শেষে ঢাকায় ফিরে যান। নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক নারীসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার জিয়াউর (৩০) নামে এক যুবক মারা যান। সোমবার সৈয়দপুর শহরের রসুলপুর মহল্লায় এক নারী মারা যান। সোমবার গভীর রাতে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আফসার উদ্দিন (৪০) নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামে চাকরি করতেন। একই জেলার লাকসামে স্বপন কান্তি সাহা (৪৬) নামে এক ব্যবসায়ী মারা গেছেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত সবারই পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন আলমদী ও দৈলেরদী গ্রামের আবুল বাশার (৬৫) ও মুকবুল হোসেন (৪০)। অন্য জন আবেদুন নেছা। তিনি মারা যান সোমবার রাতে। তিনি মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ